সুভাষ মজুমদার –
গাজন মেলা নিয়ে প্ৰচলিত তথ্য অনুযায়ী
তারকাসুর স্বর্গ রাজ্য অধিকার করায় দেবতারা দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। তারকাসুরের বর ছিল শুধুমাত্র শিবপুত্রই তাকে হত্যা করতে পারবে। কিন্তু শিব তখনও বিয়ে করেননি। কিন্তু তিনি তখন যোগাসনে বসে রয়েছেন। তাই শিবকে বিবাহে রাজি করানোর জন্য ভক্তদেরকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভক্তরা সন্ন্যাস নিলেও শিব তুষ্ট হলো না। তখন ভক্তরা পাহাড় থেকে ঝাঁপ দেবে বলে ঠিক করে। তখনই ভক্তদের প্রতি সদয় হয়ে তপস্যারত শিব পার্বতীকে বিয়ে করতে রাজি হন । এরপর শিবের সঙ্গে পার্বতীর বিয়ে হয়। সংসার আবার অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেই থেকেই মানব সমাজে সন্ন্যাস গ্রহণের প্রচলন শুরু হয়েছিল।
বিশ্বজুড়ে শৈবতীর্থ হিসেবে পরিচিত তারকেশ্বর মন্দির
পয়লা চৈত্র থেকে দুধ পুকুরে স্নান করে সন্ন্যাস নেওয়া শুরু করেন এলাকার বহু মানুষ । প্রায় এক মাস সন্ন্যাস গ্রহণের পর সন্ন্যাস ত্যাগ করার জন্য আজকের দিনটিকে ফল দানের দিন হিসাবে সন্ন্যাসীদের ফল দান করেন সাধারণ মানুষ। মূলত আজকের দিন থেকেই শুরু হলো গাজন উৎসব। সেই উপলক্ষ্যে তারকেশ্বরে ভিড় জমছে। রাজ্য ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সন্ন্যাসীরা। তিন দিন ধরে তাঁরা তারকেশ্বর ধামে গাজন উৎসবে মেতে উঠবেন। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী কাল শিব পার্বতীর বিয়ে। বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য সেজে উঠেছে তারকেশ্বর মন্দির চত্বর। বিবাহ অনুষ্ঠান মিটে গেলেই শুরু হবে গাজনের মূল উৎসব ঝাঁপ। সমস্ত সন্ন্যাসী প্রথা মেনে ঝাঁপ দেবে তারপর তাদের সন্ন্যাস পর্ব ত্যাগ করে বাড়ি ফেরা ।
তারকেশ্বর মন্দির
Be the first to comment