লাল রঙের খেরোর খাতা তথা হাল খাতা, লক্ষ্মী গণেশ, মায়ের মন্দিরে পুজো দেওয়া, নতুন জামা পড়ার আনন্দ এইসব কিছু নিয়ে প্রতিবার আসে বাংলা নববর্ষ। বাঙালী মেতে ওঠেন নব আনন্দে। এবারও রবিবার, ১৫ই এপ্রিল, ১৪২৫ বঙ্গাব্দের শুভ সূচনা হলো। কলেজ স্ট্রীট বই পাড়াতেও চিরাচরিতভাবে লেগেছে আনন্দের স্পর্শ। এই একটা দিনে প্রকাশক, ক্রেতা-বিক্রেতা, কবি সাহিত্যিক মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আমাদের প্রতিনিধি অংশুমান চক্রবর্তী ১লা বৈশাখে বইপাড়া ঘুরে লিখলেন প্রতিবেদন।
পত্র ভারতীতে ১লা বৈশাখ নতুন বই প্রকাশ হলো। প্রায় সব প্রকাশকরাই এইদিন নতুন বই প্রকাশ করেন। নচিকেতার ১২টা গল্প নিয়ে ‘বিপজ্জনক বারো’ প্রকাশিত হলো। কর্ণধার ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, যত যাই হোক না কেন বই পড়া, বইকে ভালোবাসা কখনই কমবে না। তাঁ স্ত্রী চুমকি চ্যাটার্জী বলেন, বাঙালী কখনও বই বিমুখ হবে না। চুমকি দেবী এও জানান সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই ১লা বৈশাখ দিনটির জন্য। লেখক, ক্রেতায় জমজমাট পত্রভারতী। যেন এক উৎসবমুখর পরিবেশ। ওদের USP বাড়িতে তৈরী ডিমের ডেভিল।
কবি শ্যামল কান্তি দাশ খ্যাত ছোটদের কবি হিসাবে। পাঠক প্রকাশনায় শ্যামল কান্তি দাস, গৌরি শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রজন্মের কবিরা, ছড়া লেখকরা উপস্থিত ছিলেন। চা ও টা সহযোগে জমে উঠেছিলো আড্ডা। সঙ্গে উপহার বাচ্চাদের ক্যালেন্ডার। এইরকমই কচি কাচাদের নিয়ে লেখালেখি প্রকাশ করে ‘ছোটদের কচিপাতা’। সমর পাল কর্ণধার। শিশু সাহিত্য যারা ভালোবাসেন তারা সকলেই উপস্থিত ছিলেন এখানে।
বড় প্রকাশনা সংস্থা দেব সাহিত্য কুটির। শুকতারা, নবকল্লোল সম্পাদক রূপা মজুমদার বললেন, বাড়িতে সকালে গণেশ পুজো, গুরুজনদের প্রণাম করে দপ্তরে আসা, সারাক্ষণ ধরেই প্রবীণ-নবীন বহু লেখক, ক্রেতা, সাধারণ মানুষ আসেন এখানে। সকলকেই ঠান্ডা পানীয়, মিষ্টি মুখ করানো হয় এখানে। বিনিময় হয় শুভেচ্ছা। এভাবেই মোটামুটি দিনটা কেটে যায়। সাহিত্যিক অভীক বসু’র ছোটদের বই প্রকাশিত হলো এইদিন।
দেজ পাবলিশার্স বাংলার অন্যতম সেরা প্রকাশনা সংস্থা। কর্ণধার সুধাংশু শেখর দে’র এদিন দম ফেলবার ফুরসৎ নেই। দপ্তরে যেন বসেছে চাঁদের হাট। কখনও কবি শঙ্খ ঘোষ, কখনও জয় গোস্বামী। এইভাবেই বইপাড়া নতুন বছরকে উৎযাপন করার জন্য রীতিমত মেতে উঠেছিলেন।
Be the first to comment