কৃষি ঋণ সম্পর্কে আসুন বিশদে জেনে নিই

Spread the love

মাসানুর রহমান –
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ২০১১ থেকে বাংলার মসনদে। ২০১১ থেকেই এই সরকার জোর দিয়েছে রাজ্যের কৃষিতে। কৃষির উন্নয়নের জন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড তেমনই এক পদক্ষেপ

এই ক্রেডিট কার্ড কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে ও কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজ্য সরকার তাই কৃষি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের ব্যাঙ্কের কমিটি, যার মধ্যে তালিকাভুক্ত বেসরকারি ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, সমবায় ব্যাঙ্ক এবং ফসল বীমা কোম্পানিগুলি কাজ করে চলেছে। এই ব্যাঙ্কগুলি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় ২০১৭ সালের মে জুন মাসে চার দিনের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দিবস পালন করে খারিফ মরশুমে সমস্ত ব্যাঙ্কের সমস্ত শাখায়।

২০১৭-১৮ এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাস থেকে ৯.২ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলি করা হয় যা এই একই সময়ে গত বছরে ছিল ৮.৫ লক্ষ। ৩৫.৪২ লক্ষ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের বিনিময়ে ১৪৮৬০ কোটি টাকা বাকি আছে ৩০সে সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। ৩০ সে সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত ৩৪.৭৯ লক্ষ কার্ডের জন্য ছিল ১২১৯৩.৫৬ কোটি টাকা।

এর জন্য বিশেষ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় যেখানে সদর দপ্তরের আধিকারিকরা প্রত্যন্ত ব্লকে যায়। রাজ্য সরকারের ব্যাঙ্কের কমিটি তাদের ১৩৮তম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণের পরিমান বাড়ানো। আগে যা ছিল ৪২ হাজার টাকা, তা বাড়িয়ে ১ লক্ষ করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*