তপন মল্লিক চৌধুরী
মন্টে ক্যালি। শ্বেত শুভ্র ছোট্ট একটি পাহাড়। জার্মানিতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। তবে আর দশটা পাহাড়ের থেকে এটা একেবারেই আলাদা। কারণ পাহাড় কাটলে সাধারণত মাটি বা পাথর পাওয়া যায়। কিন্তু এই পাহাড়টি কাটলে মাটির বদলে মিলবে খাওয়ার লবণ। জার্মানির পূর্বাঞ্চালীয় হিস শহরের কাছেই পাহাড়টির অবস্থান। ধবধবে সাদা রঙের এই পাহাড়টি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়নি। মন্টে ক্যালি আসলে পটাশিয়ামের খনি থেকে বর্জ্য হিসেবে জমা হওয়া সোডিয়াম ক্লোরাইড বা লবণের স্তূপ। তাই অনেকেই এটিকে লবণের পাহাড় বলে থাকেন। প্রায় একশ বছর বা তার বেশি সময় ধরে জার্মানির এই অঞ্চলটি পটশিয়াম সমৃদ্ধ।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পটাশিয়ামের খনিটি এখানেই অবস্থিত। ফলে দশকের পর দশক ধরে এখানে পটাশিয়াম উত্তোলনের ফলে যে সোডিয়াম ক্লোরাইড জমা হয়েছে তা থেকেই এই লবণ পাহাড়ের উৎপত্তি। ৯৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই পাহাড়টির উচ্চতা প্রায় দু’শো মিটার। ধারণা করা হয় পাহাড়টিতে প্রায় একশো আটাশি মিলিয়ন টন লবণ জমা রয়েছে এবং প্রতি বছর আরো সাড়ে ছয় মিলিয়ন টন লবণ জমা হচ্ছে। তবে পাহাড়টি পর্যটকদের কাছে দর্শনীয় হলেও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ পাহাড়ে জমে থাকা লবণ গলে নানাভাবে মাটিতে মিশে যাচ্ছে যা তীব্র মাটি দূষণের জন্য দায়ী। এছাড়া কিছু গাছ ছাড়া আশে পাশের এলাকাতে কোনো ধরনের গাছ জন্মাতে পারে না। তাছাড়া এটি নিকটবর্তী উইরা নদীর জল দূষণের জন্যও দায়ী।
Be the first to comment