নয়াদিল্লি: চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্ম বা এডিআর। ধর্ষণ ও মহিলা নির্যাতনে বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত থাকার সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তারা।
উন্নাও–য়ে তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বিধায়কই শুধু নয়, বিধায়ক এবং সাংসদ মিলিয়ে দেশের ৪৮ জন নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরাই অভিযুক্ত মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নানান অপরাধে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে ধর্ষণ, তেমনই আছে শ্লীলতাহানি, যৌন নিগ্রহ বা অপহরণের মতো ঘটনাও।
এডিআর–এর নতুন তথ্যে দেখা যাচ্ছে সারা দেশের সব রাজ্য মিলিয়ে বর্তমান নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের মধ্যে ৪৫ জন বিধায়ক এবং তিনজন সাংসদ এধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত। তাঁদের মধ্যে ২৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অথচ গত পাঁচ বছরে দেশের বিভিন্ন নামকরা রাজনৈতিক দলের টিকিটে তাঁরা প্রার্থী হয়ে জিতেছেন।
ধর্ষণ ও মহিলা নির্যাতনের নানা অপরাধে বিধায়ক ও সাংসদদের যুক্ত থাকার তালিকায় এগিয়ে এক রাজনৈতিক দল। এর পরেই রয়েছে আরও দুই রাজনৈতিক দলের নাম। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিধায়ক সাংসদের সংখ্যা হলো ২৭।
এই ধরনের অভিযোগে তালিকার শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে অভিযুক্ত সাংসদ এবং বিধায়কদের সংখ্যা ১২। তারপরই আছে পশ্চিমবঙ্গ, সেখানে অভিযুক্তদের সংখ্যা ১১। তারপর আছে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানে অভিযুক্তদের সংখ্যা রাজ্য প্রতি পাঁচজন। এডিআর–এর রিপোর্টে রাজনৈতিক দলগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এধরনের অভিযুক্ত নেতাদের টিকিট না দেন।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ধর্ষণ, মহিলা পাচার, নারী নির্যাতন, অপহরণের মতো ঘটনা যে রাজ্যে বেশি সেই রাজ্যে এই জাতীয় অপরাধে অভিযুক্ত সাংসদ বিধায়কের সংখ্যা বেশি। যেমন মহারাষ্ট্রে এই অভিযোগ রয়েছে এরকম বিধায়ক ও সাংসদের সংখ্যা ১২ জন। পশ্চিমবঙ্গে ১১জন, ওডিশায় তা ৬ জন।
Be the first to comment