মাসানুর রহমান –
আসুন বিশদে জানি
প্রকল্পঃ লোকপ্রসার
রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে লোকপ্রসার প্রকল্প’টি প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য হল- লোকশিল্পীদের পরিচয়পত্র প্রদান করে শিল্পী হিসাবে মর্যাদা দান, বাংলার ঐতিহ্যপূর্ণ লোকআঙ্গিকগুলির প্রচার ও প্রসার ঘটানো, লুপ্তপ্রায় লোকআঙ্গিকগুলির পুনরুজ্জীবন ঘটানো, লোকসংস্কৃতির সাথে যুক্ত শিল্পীদের আর্থ –সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।
উক্ত উদ্দেশ্যগুলি সামনে রেখে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ
প্রত্যেক লোকশিল্পীকে একটি পরিচয়পত্র প্রদান করেছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। বয়স্ক ও দুঃস্থ লোকশিল্পীদের মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা করা, শিল্পীদের বহালভাতা দেওয়া, লোকশিল্পীদের সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রচারে কাজে লাগিয়ে নুন্যতম আয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়।
পরিচয়পত্র প্রদান লোকপ্রসার প্রকল্পের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হল প্রত্যেক লোকশিল্পীকে শিল্পী হিসাবে মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে।
লোকসংস্কৃতি জাতির সংস্কৃতির ভিত্তিভূমি হলেও লোকশিল্পীরা শিল্পী হিসাবে সামান্য সম্মানটুকু পান না। তাই ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সব বিষয়ে ইতিবাচক ভাবনা ভেবেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।লোকপ্রসার প্রকল্পে প্রাপ্য শিল্পীদের সম্মান দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বয়স্ক ও দুঃস্থ লোকশিল্পীদের মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা বাংলার অনেক লোকশিল্পী যারা এককালে খুব সুনামের সঙ্গে অনুষ্ঠান করতেন, আসর মাতিয়ে তুলতেন, কিন্তু এখন বয়েসের ভারে হয়তো অনুষ্ঠান করতে পারেন না। তাই আয়েরও কোনও সংস্থান নেই, দেখারও কেউ নেই। লোকপ্রসার প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার এইসব শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক সুরক্ষা দিচ্ছে। ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক লোকশিল্পীদের লোকপ্রসার প্রকল্পের মাধ্যমে পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২,৮৪২ জন শিল্পীকে মাসিক ১০০০ টাকা করে পেনশনভাতা পাচ্ছেন। শিল্পীদের বহালভাতা দেওয়া লোকপ্রসার প্রকল্পে নথিভুক্ত লোকশিল্পী যারা বিভিন্ন বিভাগের প্রচারের কাজে যুক্ত তাঁদের প্রতিমাসে ১০০০ টাকা বহালভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
Be the first to comment