পুতিনের বিরুদ্ধে লড়বো, এমনই বললেন রাশিয়ার ‘প্যারিস হিলটন’

Spread the love

রাশিয়ার ‘প্যারিস হিলটন’ বলা হয় তাকে। কিসিনিয়া সবচাক খবরের শিরোনামে সব সময়ই থাকেন। হঠাৎই প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আগামী নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে চমকে দিয়েছেন কিসিনিয়া। প্রায় দু’দশক ধরে পুতিনের কর্তৃত্ব চলছে রাশিয়ায়। আগামী মার্চেই ভোট হবে। রাশিয়ার প্রায় সবাই তথা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামনের ভোটেও অনায়াসেই জিতবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ৩৫ বছরের কিসিনিয়া একটু অন্যরকম ভাবছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষ পদের জন্য লড়ার সম্পূর্ণ অধিকার তাঁর রয়েছে। তাই ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসছেন পুতিনের রাজত্ব শেষ করার জন্য। তাঁর কথায়, ‘‘১৮ বছর বয়সে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, সে বার পুতিন প্রেসিডেন্ট হলেন। সে বছর যারা জন্মেছিল, তারা এ বার ভোট দেবে। ভেবে দেখুন এক বার। ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ রাজনীতিতে একই মুখ বার বার দেখতে দেখতে ক্লান্ত আমি।’’ কালই এক রুশ টিভি চ্যানেলকে কিসিনিয়া জানিয়েছিলেন পুতিনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রাজনীতির পরিবেশেই বেড়ে ওঠা কিসিনিয়ার। আনাতলি সবচাকের মেয়ে তিনি। সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রাক্তন মেয়র আনাতলির হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন বর্তমান রুশ প্রেসি়ডেন্ট। তিনিই নব্বই দশকের গোড়ায় সিটি হলে এক আধিকারিক হিসেবে পুতিনকে এনেছিলেন। তার পর আর সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরেননি পুতিন। ২০০০ সালে মারা যান আনাতলি। কিসিনিয়ার মা, লুডমিলা নারুসোভা রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্য।
একটি রিয়্যালিটি টিভি শো উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন কিসিনিয়া। নাম ডম-২। এমনিতে বিভিন্ন ‘পেজ থ্রি’ অনুষ্ঠানে তাঁর ছবি দেখতেই অভ্যস্ত রুশরা। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ‘ফলোয়ার’ পঞ্চাশ লক্ষেরও বেশি। পুতিনকে হারিয়ে রুশ রাজনীতিতে কিসিনিয়া কী পরিবর্তন আনতে পারেন, তা জানতেই এখন আগ্রহী রাশিয়ার অধিকাংশ মানুষ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*