আর্যতীর্থ –
ক্ষমা করুন বিভুতিভূষণ, আপনাকে চিনেছি অন্যের হাত ধরে,
অপুদুর্গাকে আমি আগে কাশবনের মধ্যে দিয়ে ছুটতে দেখেছি;
একটা ব্যাপার বুঝেছিলাম উপন্যাসটা পড়ে
দুধের স্বাদটা ঘোল দিয়ে নয়, দুধেই চেখেছি।
ছোটবেলায় শারদীয়াতে বড়দের জন্য দেশ, আর আমাদের জন্য আনন্দমেলা
(ছররা কাটা ‘ আ’, ডিজাইনটা সেই মানুষটারই করা)
শঙ্কু এবং ফেলুদা তো দুই বয়েসেই গেলা
তোপসেটাকে মনে হতো আমার ছাঁচেই গড়া।
ভূতের রাজা কি বিদ্রূপে বানিয়েছিলেন হীরক রাজার দেশে!
আজও দেখি, এই আকালেও ঝটকা লাগে গায়
মনন এবং হৃদয় বেঁধা যায় যে কি অক্লেশে
মুহুর্মুহু দেখিয়ে দিতেন শ্রী সত্যজিৎ রায়।
ডজন ডজন গল্প সবই আমার ছিলো মুখস্থ
আমার কেন, আমার বয়েসী যে যেখানে আছে
সুযোগ পেলেই সত্যজিতকে খুলে সবাই বসতো
ছেলেবেলার অনেকটা ভাগ মানিকবাবুর কাছে।
আরও বড় হয়ে যখন ঘরে বাইরে দেখি
এক চুম্বনে চমকে গেলো মধ্যবিত্ত মন
চারুলতার দোলনা চড়া ভুলতে পারি সেকি
সত্যজিতের স্মৃতিগুলো আমার যখের ধন।
………………………………………………………..
আমবাঙালীর কথায় কাজে ছাতা পড়ে গেছে
হল্লা শুণ্ডি হীরকরাজা দল গড়েছে নিজেই যে যার
সত্যি বলছি মানিকবাবু মরে গিয়ে গেছো বেঁচে
তোমার নামের রাস্তা এখন ধরনী হয়ে অন্ধকার।
Be the first to comment