রফিকুল জামাদার (রিপোর্টার) –
“শান্তিপূর্ণ ভোট আমরা চাই, আমরা কোনো অশান্তি চাই না। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে জয় আমাদেরই হবে।” প্রেসক্লাবে মিট দ্য প্রেসে বললেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন মহাসচিব আরো বলেন,
১) বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় ১০০০ এর বেশি সরকারি মিটিং করেছে। ভোটের জন্য নয় জেলার উন্নয়নের জন্য মিটিং করেছেন। আমি আমার এই বয়সে এর আগে কোনো মুখ্যমন্ত্রীকে দেখিনি জেলায় গিয়ে এরকম মিটিং করতে।
২) দাঙ্গাবাজ, ভাঁওতাবাজ সব এক হয়েছে।
৩) সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
৪) ওরা(বিরোধীরা) মুখ দেখাতে কোর্টে যাচ্ছেন।
৫) রাহুল সিনহা মিট দ্য প্রেসে যা বলেছিলেন, একজন অসুস্থ(পাগল) মানুষও এরকম কথা বলেন না।
৬) দিলীপবাবু বলছেন শ্মশানে পাঠাবেন, কিন্তু শ্মশানের উন্নয়নের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন। শ্মশানের উন্নয়নের জন্য সমব্যথী থেকে বৈতরণী সবই করে দিয়েছেন।
৭) আমরা চাই ভোট শান্তিপূর্ণ হোক। জয় আমাদেরই হবে।
৮) কোর্টকে আমরা সম্মান করি। কোর্টের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। তবে ২০১৩ রেফারেন্স কেনো বলছেন, বিরোধীদের মনে নেই ২০১৩-র আগের পঞ্চায়েত কথা।
৯) আইনশৃঙ্খলা আছে বলেই এই রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর এখনো ভরসা রেখেছেন। রাজ্যের মানুষ ২০১১ তেও ভরসা করেছেন, ২০১৬ তেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভরসা করেছেন।
১০) রাজনৈতিক খুন আগে যে ভাবে হত, যে ভাবে শুনতাম, সেই রাজনৈতিক খুন তো ভুলে গেছি।
১১) কাউকে আঘাত করা আমরা সমর্থন করি না। আমরা অনুব্রত মন্ডলের কথাকে সমর্থন করি না। আমি কবি হিসেবে সবাইকে সম্মান করি। শঙ্খ ঘোষকে আমি সম্মান করি। তবে শঙ্খ বাবু ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন।
১২) কংগ্রেস সাইন বোর্ড হয়ে গেছে। আর সিপিএম ৩৪ বছর থেকেও কিছু করতে পারিনি। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে কিছুই করেনি। আর বিজেপির জনবিরোধী নীতি, সাম্প্রদায়িকতা মানুষ কোনোদিন মেনে নেয়নি। মেনে নেবে না। ওরা কিছু করতে পারবে না। তাই এরা জোট করুক আর মহাজোট করুক, তাতে কোনো কিছুতেই লাভ হবেনা।
Be the first to comment