হিমাচলের অপূর্ব শৈলশহর সিমলা হয়েই যাত্রা শুরু কিন্নর এর। হাওড়া থেকে কালকা মেল ধরে কালকা নেমে ট্রয়ট্রেন এ করে ৯৬ কিমি পথ ও ১০৩ টি টানেল অতিক্রম করে এই অ্যাডভেঞ্চার সফর শুরু। পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে সিমলার ম্যাল এ একটু ঘুরে আসতে পারেন। এখানে সুন্দর সুন্দর শীতের গরম জামা কাপড় খাওয়া দাওয়া সব ই পাবেন। ম্যালের এক ধারে দখতে পাবেন একটি অ্যাংলোসিয়ান চার্চ । সিমলা ঘুড়ে সাইট সিন করে তারপর পারি দেওয়া যাক কিন্নর এর উদ্দেশ্যে। কিন্নর যেতে যেতে প্রতিটা বাঁকে বাঁকে মেলে এর অপরূপ সৌন্দর্যের দিশা। শ্রীখন্ড পাহাড়ের কোলে অবস্থিত সারাহানের ভীমাকালী মন্দির। এর পাস ঘেষে রাস্তা চলে গেছে বুশাহার রাজপ্রাসাদ এর দিকে। যেখানে প্রবেশ নিষেধ।
সারাহান এর পরে পড়বে দুই টি ছবির মতো গ্রাম সাংলা ও চিটকুল।শীতে এই জায়গা গুলি থাকে বরফে মোরা আর অন্য সময় চোখ জুরানো সবুজ। ৩৪৫০মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ভারতের শেষ জনপদ চিটকুলে এলে মনে হবে স্বর্গ বলে যদি কিছু থাকে তবে তা এটাই।
চিটকুল থেকে এগিয়ে এবার আমাদের যেতে হবে কিন্নর এর দিকে।করছাম থেকে একটু এগিয়ে রেকংপিও, কিন্নর এর সদর শহর। কল্পার চারিদিকে কিন্নর কৈলাশ এর ভিউ। এই কিন্নর কৈলাশ পর্বতমালার ওপরে দেখা যায় শিবলিঙ্গের মতো আকারের ৮০ফুট উঁচু শিলাখন্ড যাকে স্থানীয় বাসিন্দারা দেবাদিদেব মহাদেব এর ন্যায় পূজা করেন। এবং কিন্নর কৈলাশ এই জন্যই বিখ্যাত।
কল্পার আপেলের খ্যাতি তো বিশ্বজোড়া।অক্টোবর মাসে এলে দেখবেন সমস্ত গাছ জুড়ে আপেল হয়ে আছে। সবুজ, লাল সব রকম আপেলই পাবেন।
ভাবছেন এত সুন্দর জায়গা কিন্তু কিভাবে আসবেন….চিন্তা কিসের, হাওড়া থেকে কালকা মেল ৭:৪০মি: এ ছেড়ে তৃতীয় দিন ভোর ৪টের সময় কালকা নামে,সেখান থেকে শিবালিক এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে ১১টায় সিমলা পৌচ্ছায়।সিমলা থেকে সারাহান এর দূরত্ব১৮৫কিমি। বিভিন্ন বাসেও আসা যেতে পারে সিমলা থেকে সারাহান। সাংলার দূরত্ব এখান থেকে ৮৫ কিমি। তবে গাড়ি ভাড়া করে করে নেওয়াই বেশী সুবিধেজনক।আর হোটেল আজকাল বিভিন্ন সাইট থেকেই আপনারা বুকিং করতে পারবেন।
তাহলে এবার কচিকাচা দের নিয়ে গ্রীশ্মের ছুটিতে চুটিয়ে ঘুরে আসুন হিমাচল এর বুকে কিন্নর-কৈলাশ। যার অপরূপ সৌন্দর্য নজরকাড়ে।
Be the first to comment