জীবাণুমুক্ত পরিবেশে বড় হওয়ার কারণেই কমছে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে শিশু দেহে। ফলে সহজেই ব্লাড ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির শিকার হচ্ছে শিশুরা। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করা হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য গবেষণাপত্রে। গবেষণাপত্রটির লেখক যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অফ ক্যান্সার রিসার্চের বিজ্ঞানী অধ্যাপক মেল গ্রিভস।
তাঁর দাবি, আধুনিক যুগের ‘জীবাণুমুক্ত’ পরিবেশই শিশুদের লিউকেমিয়া হবার একটি অন্যতম কারণ। যদি শিশু বয়সে যথেষ্ট পরিমাণে জীবাণু মোকাবিলার অভিজ্ঞতা না হয়, তাহলে শরীরের নিজ্স্ব প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়না। লিউকেমিয়া নামের যে ব্লাড ক্যান্সার – তা প্রধানত উন্নত এবং ধনী সমাজগুলোতেই বেশি দেখা যায়। যার অর্থ হল, আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে এর একটা সম্পর্ক আছে। কোন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য যথাযথভাবে তৈরি না হয়ে থাকে, তাহলে তার দেহে লিউকেমিয়ার সম্ভবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, যে শিশুরা মায়ের বুকের দুধ খায় তাঁদের এই ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা কম। কারণ এর ফলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। আবার যেসব শিশুরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায জন্মেছে তাদের মধ্যেও লিউকেমিয়ার হার কম। কারণ তারা মায়ের দেহ থেকেই সেই শক্তি লাভ করেছে। সেজন্য তাঁর পরামর্শ, শিশুদের বাবা-মায়ের উচিত হবে সাধারণ সংক্রমণ নিয়ে বেশি চিন্তিত না হওয়া। অন্য বাচ্চাদের সাথে মেলামেশা করতে দেওয়া। খোলা পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ করে দেওয়া। যাতে তাদের দেহ বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট তৈরি হয়ে ওঠে।
Be the first to comment