সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বুধবার দেখা করেন বর্ষীয়ান ওই সিপিএম নেতার সঙ্গে৷
বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানেই রয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি৷ কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য তাঁরা দু’জনে সেখানে উপস্থিত৷ শপথেও দু’জনকে কুশল বিনিময় করতে দেখা গিয়েছিল৷ পরে সন্ধ্যায় তাঁরা একান্ত বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে৷
প্রকাশ্য মঞ্চে কুশল বিনিময় নিতান্তই সৌজন্যমূলক, এমনটা ঠিক ভাবা যাচ্ছে না। যার বড় কারণ হচ্ছে সমগ্র দেশ জুড়ে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের ক্ষেত্রে অন্যতম উদ্যোগী হচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। আর মতাদর্শগতভাবে বিজেপি শিবিরের প্রধান বিরোধী বাম। সেই দিক থেকে বিচার করলে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল-সিপিএম, এই চিত্র অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কিন্তু, সিপিএম-এর সঙ্গে জোট বেধে লড়াই করবে তৃণমূল। এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও বেশ ভাবতে হচ্ছে। বাম বিরোধিতা করেই উত্থান হয় কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই একই উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি গঠন করেন তৃণমূল কংগ্রেস। ক্রমাগত বাম বিরোধিতা করেই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছেন মমতা। বাংলা জুড়ে ছেয়ে গিয়েছে ঘাসফুল। আর এই ধারায় লাল বাংলা থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বাম।
এক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোটের পথ কতটা মসৃণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। যদিও রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না। প্রবল মমতা বিরোধী বাম সাংসদ(এখন বহিষ্কৃত) ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবিও করেছেন। কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে পৃথক তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন মমতা। প্রায় এক দশক পড়ে সেই তৃণমূলের টিকিটেই সাংসদ হয়েছিলেন সোমেন বাবু।
ভারতের রাজনীতিতে এই ধরনের উদাহরণ অনেক রয়েছে। আগামী এক বছরে এমন আরও অনেক উদাহরণ দেখা যাবে তা বলাই বাহুল্য।
Be the first to comment