শুক্রবার দুপুরে উপমহাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের এক ঐতিহাসিক বৈঠকের স্বাক্ষী হতে চলেছে বিশ্বভারতী। আগামীকাল বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের পর সেখানেই বৈঠকে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী, শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে উক্ত বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন কী না, তা এখনও জানা যায় নি। তবে বিশেষ সুত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে, হাসিনা ও মমতার সম্পর্ক এতটাই ভালো যে, তিনজনের একসঙ্গে কথা হওয়া এখন শুধু সময়েরই অপেক্ষা।
তবে এদিন বিকেলেই বোলপুরে পৌঁছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে, সম্পর্ক আরও ভালো হবে এটাই তিনি সবসময় চান। পাশাপাশি মমতা আরও বলেন, তিনি থাকুন বা না থাকুন সেটা বড় ফ্যাক্টর নয়। দুই প্রধানমন্ত্রী কথা বললে দু’দেশেরই মঙ্গল হবে।এছাড়াও, দুই বাংলা তথা দুই দেশের সম্পর্ক বিশ্বজনীন বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, অন্যদিকে মোদী-হাসিনার বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন, তিস্তার জলবন্টন চুক্তি, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের যৌথ লড়াই ছাড়াও বাংলাদেশের আস্নন নির্বাচন নিয়েও কথা হতে পারে। এছাড়াও গত ৭ দিনে মমতার সঙ্গে হাসিনার দুবার ফোনে কথা হয়েছে, হয়েছে চিঠি আদানপ্রদানও। এমনকি শান্তিনিকেতন ছাড়াও কলকাতায় শনিবার বিকেলে দুই নেত্রীর একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, মমতার উদ্যোগেই আসানসোলে রাজ্য সরকারের পরিচালনাধীন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ই শেখ হাসিনাকে ডিলিট দিচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সকাল ৯টায় বিশেষ বিমানে কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন। সেখান থেকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে উড়ে যাবেন শান্তিনিকেতন। হাসিনার সঙ্গে আসছেন বোন রেহানা, সাংসদ শেখ হেলাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামুদ আলি, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।
Be the first to comment