সমাবর্তন অনুষ্ঠান সেরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ভেতরেই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ ভবন অপূর্ব সুন্দর হয়েছে। আমি এই অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে গর্বিত। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মত ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক। রবীন্দ্রনাথ নজরুল ইসলাম যেন একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। ভারত তথা এপার বাংলা এবং বাংলাদেশ একে অপরকে ছাড়া ভাবতে পারেনা। কবিগুরু লিখে গেছেন, দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে যাবে না ফিরে … এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে ॥ আবার এই বাংলার মাটিতে নজরুল লিখেছেন, গাহি সামনের গান… মহীয়ান… বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার কহিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর… এতো আমাদের বাংলা মায়ের দুই কবির লেখা দুই কবিতা। ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের সম্পর্ক খুব ভালো। আমরা বলি, সারে জাঁহাসে আচ্ছা হিন্দুস্থান হামারা, আবার বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং আমাদের জাতীয় সঙ্গীত একই লোকের লেখা তিনি হলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভবন একসময় তীর্থস্থান হবে। ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কে সুদৃঢ় করতে এটি সাহায্য করবে। শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি বঙ্গবন্ধু ভবনও করতে চাই। নজরুলের নামে আমরা একটি এয়ারপোর্ট ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। একটি চেয়ারও আমরা উৎসর্গ করেছি। রামজান মাসে ভারত-বাংলাদেশে যে সব ভাইবোনেরা রোজা পালন করছেন তাদের শুভেচ্ছা জানাই। জয় হিন্দ। জয় বাংলা।
Be the first to comment