বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করলেন নিখাদ বাংলায়। নরেন্দ্র মোদী বাংলায় বললেন শান্তির নীড় কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনে এসে আজ আমি অত্যন্ত শান্তি অনুভব করছি। তারপর মঞ্চে উপবিষ্ট সকলকে বলেন আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার সময় শুনলাম ছাত্র-ছাত্রীদের খাবার জলের খুব অভাব। সেই কারনে আমি ক্ষমা চাইছি। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় দেশে-বিদেশের সব জায়গায় আমাকে যেতে হয়। কোথাও অতিথি, কোথাও আচার্য হিসেবে, কিন্তু গুরুদেবের এই শান্তিনিকেতনে আচার্য হিসেবে আসতে পারায় আমি নিজেকে অত্যন্ত গর্বিত বলে মনে করছি। বিদ্যুতের যেমন নিজস্ব চমক থাকে আমারও এখানে এসে সেরকমই মনে হচ্ছে। এই ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ, এই ঐতিহ্য সবেতেই ছড়িয়ে আছে গুরুদেবের স্পর্শ।
আর এদিন বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, আপনারা শুধুই এখান থেকে ডিগ্রী পেয়েছেন তা নয়, আপনারা এখান থেকে যা পেলেন তা ঐতিহ্যর বাহক। গুরু-শিষ্যের পরম্পরার এক নিদর্শন হল বিশ্বভারতী। ‘সারা বিশ্ব হল তোমার ঘর’, এই দেবমন্ত্রকে নিয়ে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিশ্ববিদ্যালয় বানান। সমস্ত ভারতীয়কে নিয়ে এই ঐতিহ্য, এটাই তো বসুদেব কুটুম্বকম। আসলে গুরুদেবও যেন সেই সময় বিশ্ব নাগরিক, বললেন মোদী। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন বিশ্বভারতীর পঠন পাঠন নিয়েও ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে খোলা আকাশে বসে মানুষ ও প্রকৃতির একাকার হয়ে যাওয়া এটা এক বিশাল প্রাপ্তি।
আমাদের ১১৫ কোটির দেশ। এখানে গুরুদেবের ভিশনই হল আমাদের ইন্ডিয়া। আমরা শিক্ষার বিস্তারে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবো। শিক্ষা ও গবেষণা বেশী করে করতে হবে। বিশ্বভারতী এর জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। যদি আপনারা এক কদম এগোন, তাহলে আমরা চার কদম এগোতে প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেন নমো। কবিগুরুর সেই কথা, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে। তবে তিনি যে ভালো কাজের পাশে আছেন সেটাও বুঝিয়ে দেন মোদী।
Be the first to comment