আর্যতীর্থ –
কবিরা তো শান্তশিষ্ট ,নিরীহ খুব
শব্দ গেঁথে ছন্দতে দেন নীরবে ডুব,
কবির আবার কি আসে যায় বিদ্রোহতে
যান না ভেসে যেদিক নিয়ে যাচ্ছে স্রোতে।
এই কথাটা শাসক ভাবেন এলিয়ে গা
হাততালি দেন, কাব্য শুনে দেন শিরোপা।
হঠাৎই তাঁর ঘুম ভেঙে যায় মধ্যরাতে,
ও কার কথা মশাল জ্বালায় সবার হাতে?
খাপছাড়া এক বেআক্কেলে শব্দ শানায়
বিরুদ্ধতা পৌঁছিয়ে দেয় সব ঠিকানায়।
শাসক ওঠেন ধড়মড়িয়ে ত্রস্ত হয়ে
কার কলমে ছন্দ ওঠে অস্ত্র হয়ে?
চিহ্নিত হন কবি এবং কবির কলম
চলতে থাকে হুমকিকথার নরমগরম
আঁচড়ে দেখেন শাসক ভারী শক্ত মাটি
কোনোভাবেই যায় না কেনা শিরদাঁড়াটি।
এর পরে কি? হয়না বদল চেনা ছবির,
নজরুল বা অনন্তমূর্তি কিংবা কবীর।
যতই শাসক পাষাণ চাপান কবির বুকে
কবিতারা উথলে ওঠে লোকের মুখে।
সত্যি কথা বলার মানে বিদ্রোহ কি?
তাই যদি হয় বিদ্রোহী হোক সবার চোখই।
নিয়ম যখন ন্যায়হীনতা আড়াল করে,
দ্রোহ তখন রোজের কাজের মধ্যে পড়ে।
অর্থ যখন অনায়াসে বিচার কেনে,
কি হবে আর তখন দেশের আইন জেনে?
শাসক যদি গণমানস মুচড়ে ধরে,
কষ্টগুলো আগুন হয়ে উপচে পড়ে।
সেই আগুনে পোড়ান যিনি ছন্দকথা,
বিদ্রোহী নাম হঠাৎ জোটে তাঁর অযথা।
নজরুলকেও কেন যে ওই নামে বাঁধি,
বিদ্রোহী নন, কাজী ছিলেন সত্যবাদী।
Be the first to comment