পণের কারণে গৃহবধুকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ২রা জুন সোদপুরের বাসিন্দা সঙ্গীতা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় দক্ষিন বারাসতের বাসিন্দা অশোক দাসের। অশোক দাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। বিয়ের সময় তাকে পন দেওয়া হলেও আবারও পনের টাকা চেয়ে সঙ্গীতার উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ। স্বামী ছাড়াও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও জা এর বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা মৃত্যুকালীন জবানবন্দী তে পুলিশকে জানায় সে।
ইতিমধ্যে অশোক দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ সঙ্গীতার আড়াই বছরের শিশু সন্তানও। উল্লেখ্য, গত ২৭ মে রাত ৮টা ১২ নাগাদ সঙ্গীতা তার দাদাকে ফোন করে জানায় যে এটাই তার লাস্ট ফোন। তারপরেই ৮টা ২৭ নাগাদ বোন অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পৌঁছয় বাপের বাড়ির লোকজনদের কাছে। শরীরের প্রায় নিরানব্বই শতাংশ পুড়ে গিয়েছে সঙ্গীতার। বাড়িতে সেইসময় দেওর বাদে সকলেই ছিল। টিভি দেখছিলেন শ্বাশুড়ি। কেউই এগিয়ে আসেননি। পরে প্রতিবেশীদের চাপে পড়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় গৃহবধূকে। হাসপাতালেই জামাইকে আটকে রাখে সঙ্গীতার বাড়ির লোক। ঘটনার পর থেকেই পলাতক বাকি অভিযুক্তরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Be the first to comment