আক্রান্ত হয়েই নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। শুক্রবার চার্জশিট পেশ করলো সিবিআই। সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে নন্দীগ্রাম কাণ্ডে হয়নি কোনও গোপন অপারেশন। বারবার ঘোষণার পরই করা হয় অপারেশন। নন্দীগ্রামকাণ্ডে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছিল। এমনই অভিযোগ বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পুলিশ গিয়েছিল রাস্তা সারাই করতে। জানুয়ারি মাসে যে রাস্তা কেটে দেয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির লোকেরা। ভাঙা বেড়া সেতু দিয়ে ঢোকার কথা ছিল পুলিশের। রিপোর্টে বলা হয়েছে সেতুর অপর প্রান্তে ৫ হাজার সশস্ত্র লোকের জমায়েত করেছিল প্রতিরোধ কমিটি। এরপরই প্রথমে আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। আক্রান্ত হয়েই গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। প্রথমে আক্রমণ প্রতিরোধে লাঠি ও ঢালধারী পুলিশ পাঠানো হয়। এরপর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। তাতেও কাজ না হওয়ায় প্রথমে ৫১ রাউন্ড রবার বুলেটের পর শূন্যে গুলি চলে। এরপর হয় টার্গেট ফায়ারিং।
২০০৭ সালের পর থেকেই অভিযোগ ছিল নন্দীগ্রাম নির্বিচারে নিরীহ মানুষদের ওপর গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু সিবিআই রিপোর্ট বলছে ঘোষনা করেই পুলিশ ঢুকেছিল গ্রামে। আক্রান্ত হয়েই চলেছিল গুলি।
Be the first to comment