ভুতুরে ব্যাপার! একই বুথে একই ভোটারের নাম উঠেছে বহুবার। কোথাও বা একই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে একই ব্যক্তির নাম। আলাদা আলাদা কেন্দ্রের বুথে একই ব্যক্তির নাম, এরকমটাও আছে। এভাবে মধ্যপ্রদেশে ভোটার তালিকায় কমপক্ষে ৬০ লক্ষ ভুয়ো ভোটার ঢুকে গেছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। আগামী নভেম্বরে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে আগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
রবিবার, কংগ্রেস নেতা কমলনাথ ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বাধীন এক প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসেন। তাদের এই দাবির সপক্ষে কমিশনে প্রমাণ পেশ করেছেন। শুধু কমিশনেই নয়, পরে সাংবাদিক সম্মেলনেও কমলনাথ ও সিন্ধিয়া এরকম বহু ভোটারের নিদর্শন দেন, যাদের নাম ভোটার তালিকায় বেশ কয়েকবার করে রয়েছে। ভোজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি মহিলা ভোটারের উদাহরণ দেন তাঁরা। এই কেন্দ্রেরই আলাদা আলাদা ২৬ টি বুথে তাঁর নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন অভিযোগ তদন্তের জন্য দুটি দল গঠন করেছেন। তাগের আগামী ৭ জুন তারিখে রিপোর্ট জমা দিতে বলে হয়েছে। কমিশন এও জানিয়েছে ‘যদি কারোর ইচ্ছাকৃত ভুল সনাক্ত করা হয়, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ মধ্য প্রদেশের মোট ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি। কংগ্রেসের দাবি সত্যি হলে এই ভোটারদের ১২ শতাংশই ভুয়ো বা জাল ভোটার। বিগত নির্বাচনে কংগ্রেস ও বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের পার্থক্য ছিল মাত্র ৮.৫ শতাংশ।
কমলনাথ জানান, ‘রাজ্যের ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত প্রায় ৬০ লক্ষ জাল ভোটার রয়েছে বলে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রমাণ দিয়েছি। এটা নিছক ভুল নয়। ভোটার তালিকায় বিজেপি সরকারের নির্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ভুল করা হয়েছে।’ কংগ্রেসের দাবি তারা অন্তত ১০১ টি কেন্দ্রে অনুসন্ধান চালিয়ে ২৪.৬৫ লক্ষ নকল ভোটার পেয়েছে। এছাড়া রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গেও ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির অসঙ্গতি রয়েছে। সিন্ধিয়ার প্রশ্ন, ‘১০ বছরে মধ্যে জনসংখ্যা যেখানে ২৪ শতাংশ বেড়েছে সেখানে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৪০ শতাংশ! এটা কীভাবে সম্ভব? কংগ্রেস প্রতিনিধিদল দাবি করেছে যে এর পেছনে যে অফিসাররা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
Be the first to comment