রিপোর্টার- (সুভাষ মজুমদার)
মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মাধ্যমিকে ৬৪৭। তারকেশ্বর গার্লস স্কুলের ছাত্রী অনন্যা আদক ,বাড়ি তারকেশ্বরের সন্তোষপুর অঞ্চলের বিষ্ণুবাটি গ্রামে।থ্যালাসেমিয়া মারণ রোগে আক্রান্ত অনন্যা। নিজের লক্ষ পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ অনন্যা। তার লক্ষ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা, একদিকে আর্থিক অনটন অন্যদিকে মারণ রোগে আক্রান্ত। সব বাঁধা অতিক্রম করে এখন শুধু লক্ষপুরণের লড়াই।
জানা গিয়েছে, ছয় বছর বয়সে ধরা পড়ে এই মারণ রোগ। মেডিকেল কলেজ থেকে মৃত্যুর মুখে থেকে ফিরে এসে বাঁচার কঠিন লড়াই শুরু তার। ছোট্ট থেকেই সে পড়াশোনায় মেধাবী ছাত্রী হিসেবে এলাকায় পরিচিতি। প্রাথমিক স্কুলে সব সময় প্রথম হতো।পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী প্রযন্ত এক দশের মধ্যে স্থান করতো স্কুলে। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি আনুগত্য ছিল তাই তার এই ফলে শিক্ষক থেকে পাড়া প্রতিবেশী সকলেই খুশি। বাবা বিজয়কৃষ্ণ আদক পেশায় চাষী, অভবের সংসার, এক ছেলে এক মেয়ে।ছেলে নবম শ্রেণীর ছাত্র।মেয়ের মাধ্যমিকের ফলে খুব খুশি কিন্তু ভয়েই থাকেন কারণ মেয়েকে আরো বড় দেখতে চান , অর্থের অভাব, তার উপর মেয়ের চিকিৎসার খরচ , সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী কাছে আবেদন করছেন যদি কোনো সাহায্য করেন। তবে প্রথম থেকেই মেয়ের পড়াশোনার প্রতি কোনো খামতি রাখেননি।মাধ্যমিকে এরকম ফল হবে আশা করেননি তবে মেয়ে বরাবরই স্কুলে ভালো রেজাল্ট করতো। আগামী দিনে মেয়েকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সবার কাছে সাহায্যের আবেদন রাখছেন।
মা কবিতা আদক মেয়ের এই ফলে খুশি হলেও মেয়ের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে খুবই চিন্তিত আর্থিক অনটনের কারণে, চোখের জলে বলতে থাকেন মেয়ে বেঁচে থাক এতেই খুশি, ওর ইচ্ছা স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে কেউ যদি একটু সহযোগিতা করেন ।সব সময় ওর পাশে থাকবো। পড়াশোনার পাশাপাশি গান শেখেন অনন্যা। টিভি দেখা পছন্দ করেন না বরং রেডিও তে গান ও নাটক শুনতে বেশি ভালোবাসেন। অনন্যার এখন স্বপ্ন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা।
অন্যন্যা বলেন মানুষের মৃত্যু তো একদিন হবেই তাই যতদিন বেঁচে আছি চেষ্টা করবো নিজেকে একজন করার। যারা আমার মতো মারণ রোগে আক্রান্ত তাদের বলবো ভয় না পেয়ে যতদিন বেঁচে থাকবে নিজের লক্ষ পূরণে এগিয়ে যেতে হবে।
Be the first to comment