পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড সিউড়িতে। বাস ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। শনিবার সকালে সিউড়ির এসসি মোড়ে সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও তাঁর শিশুসন্তানের। একটি মোটর বাইকের পিছনে বসে ছেলেকে নিয়ে রাস্তা পার করছিলেন ওই মহিলা। তখনই বাইকটিকে ধাক্কা মারে একটি সরকারি বাস। বাসের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন বাইকের চালক ও আরোহীরা। তখনই মহিলা ও তাঁর সন্তানের মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় বাসের চাকা। তবে বাইকটি যিনি চালাচ্ছিলেন তাঁর খোঁজ এখনো মেলেনি।
এর পরই ঘাতক বাসের ওপর চড়াও হন স্থানীয়রা। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। এর পর ঘাতক বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। পালিয়ে প্রাণ বাঁচান ঘাতক বাসের চালক ও কনডাক্টর। এরপর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করে স্থানীয় মানুষজন। সেখানেও একাধিক বাসে চলে ভাঙচুর, হয় অগ্নিসংযোগও। তখনই ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা সমস্ত সরকারি বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে অবাধে ভাঙচুর চলে। অসহায় ভাবে তাকিয়ে দেখে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব চলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ময়দানে নামেন পুলিশ কর্মীরা। মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সিউড়ি শহরের ব্যস্ত ওই এলাকা দিয়ে বেপরোয়াভাবে সরকারি বাস চলাচলের ফলে নিত্যদিন দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছিলেন এলাকাবাসী। এদিনের দুর্ঘটনার পর সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে।
Be the first to comment