মৌলি বনিক,
১)
সুখের লহরী তুলে বহতা নদী হল আজ মন
যেমনি তুমি দাঁড়ালে এসে কুলে,
আরণ্যক দিবারাত্রির অমর কাব্য হল সৃজন,
সভ্যতার সংবিধান নীতি ভুলে।
২)
ঘুমন্ত নির্জন শৈবালদীঘি – কি আবেশে শৈবালরা ভাসে ইতিউতি,
বেনোজলের ঢেউয়ে বাঁধেনি সম্পর্কের জোট, বিচ্ছিন্ন বড় শ্রান্তগতি।
দিগভ্রান্ত বাসনারা রামধনু পোষাকে তবু হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়ায়-
আবার ছিটকে যায় মহাকাশ থেকে ক্ষয়িষ্ণু গ্রহ যেমন অস্তিত্ব হারায়।
৩)
তীব্র কোলাহলে ভরে গেছে পৃথিবী আজ কানায় কানায়
বিরামবিহীন শব্দধ্বনিরা নির্ঘুম জাগে ক্লান্তির ভার বয়ে।
কিন্তু নৈঃশব্দেরও যে আপন ভাষা ছিল সংবেদনশীলতায়
অসহিষ্ণু ব্যস্ততা ভুলেছে সে ভাষা, আজ সে গেছে ক্ষয়ে।
৪)
ছিন্নমূল স্মৃতিগুলো কখন ভোকাট্টা ঘুড়ি হয়ে লাট খায়
স্বপ্নের আকাশের গায়ে।
চেনা মুখের মুখোশে অচেনা মানুষ! মন দেয়না সায়-
অলীক চরিত্র চিত্রণ দায়ে।
৫)
ওগো হ্যামিল্টনের বাঁশিওলা,
তোমার বাঁশির সুরে ভুলগুলো ডেকে নিয়ে যাও।
সত্যের অগ্নিস্নানে আমাদের শুধু একবার শুচি হতে দাও।
৬)
রক্তাক্ত অভিমান আকাশ ছুঁতে চায়
বাঁঁধভাঙা আতপ্ত লবণাক্ত ধারায়।
বলি ‘কে তোমায় আঘাত দিল এত?’
‘কেউ নয়- আমার প্র্রত্যাশায় আমি ক্ষতববিক্ষত।
Be the first to comment