সদ্য চোট সারিয়ে ফেরা নেইমারকে ঠেকাতে মরিয়া ছিল সুইজারল্যান্ড। বিশ্বকাপে গত ২০ বছরে একটি ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন এই ব্রাজিলীয় তারকা। রবিবারের পুরো ম্যাচে দশবার ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। সুইস খেলোয়াড়েরা যেন নেইমারকে লক্ষ্য বানিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। চোট বাঁচাতে সতর্ক নেইমার এমনিতেই খানিকটা আতঙ্ক কাজ করেছে। নিজেকে ঠিকমতো মেলে ধরতেই পারেননি নেইমার। বলতে গেলে, নেইমারকে সুইস খেলোয়াড়েরা যেভাবে ফাউলে ফাউলে জর্জরিত করেছেন, সেটা একটা রেকর্ডই।
১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার আলান শিয়ারারকে এগারোবার ফাউল করেছিল তিউনিসিয়া। কেবল ফাউলের শিকার ব্রাজিলিয়ানদের কথা হিসাবে নিলে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর এত বেশি ফাউলের শিকার হননি ব্রাজিলের কোনও ফুটবলার। পুরো ম্যাচে নেইমারকে মার্ক করার দায়িত্বে ছিলেন সুইস মিডফিল্ডার ভ্যালন বেহরামি। তিনি সমানে ট্যাকল করে গেছেন নেইমারকে। ৪৪টি পাসের মধ্যে ৪১টিতে সফল হয়েছেন। ট্যাকল করেছেন ছয়টির মতো! ফাউল করেছেন চারবার, বল কেড়ে নিয়েছেন দুবার। এতেই বোঝা যায়, নেইমারকে আটকানোই ছিল সুইজারল্যান্ডের মূল পরিকল্পনা।
পরে বেহরামি হলুদ কার্ড দেখলে তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচ। বেহরামির বদলে মাঠে নামা ডেনিস জাকারিয়া ম্যাচের বাকিটা সময় নেইমারকে ঠেকিয়েছেন কোচের নির্দেশমতোই। গ্রানিত শাকা, স্টেফান লিখটস্টাইনার, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি, ফাবিয়ান শায়ের প্রমুখ খেলোয়াড়েরও মূল লক্ষ্য ছিলেন এই নেইমার। ফলে নেইমারকে নিয়ে এখন সতর্ক হতেই হবে কোচ তিতেকে।
Be the first to comment