রিপোর্টার- (সুভাষ মজুমদার)
বিশ্ব যখন কাঁপছে ফুটবল জ্বরে তখন
তারকেশ্বরের জয়ী পারি দেবে চীন ও জার্মানে।
২০১৬ সালের ২রা জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নামকরণ করেছিলেন জয়ী।আর আজ সেই জয়ী এবার পৌঁছে যাবে চীন এবং জার্মানিতে।
নামকরণের পর ২০১৭ য় কোলকাতায় যুব ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথম আত্মপ্রকাশ জয়ীর।
তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জয়ীকে, বাংলার প্রতি কোনায় কোনায় এখন জয়ী।সব রকম পরীক্ষায় পাস করে জয়ী এবার পারি দেবে জার্মান এবং চিনে।
২০১৫ সালে রাজ্য সরকারের রিফিউজি হান্ডিক্রাফট দপ্ততের তত্বাবোধনে জনা ষাটেক মহিলা কে নিয়ে তারকেশ্বরে শুরু হয়েছিল জয়ী কে পূর্ণ রূপ দেবার কাজ। রিফিউজি হান্ডিক্রাফটের বর্তমানে চেয়ারম্যান প্রাক্তন ইন্ডিয়ান ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রাক্তন ইন্ডিয়ান ফুটবলার বিদেশ বোস, এনদের তত্বাবোধনে জয়ী কে পূর্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তিন বছর আগে।
প্রথমে পঁয়ষট্টি জন মহিলাকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ,তারপর নিজেরাই তৈরি করতে থাকে বাড়িতে ।অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অবশেষে
২০১৬ জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রীর নামকরণ ,২০১৭ বাংলায় অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে আত্মপ্রকাশ।
পঁয়ষট্টি জন মহিলা এখন স্বনির্ভর, প্রতিদিন ঘরের কাজ করেও দিনে তিন থেকে চারটি ফুটবল তৈরি করতে পারেন।
এখানকার মহিলাদের এখন একটাই স্বপ্ন জয়ী কে বিশ্বকাপের ময়দানে দেখার।
তাদের মনে প্রচুর আত্মবিশ্বাস তার বলেন ফুটবল বিশ্বকাপে যে বল খেলানো হয় সেগুলো তৈরি করে পকিস্থানের শিয়ালকোটের মহিলারা।তাই তাদেরও এখন একটাই স্বপ্ন তাদের বাংলার তথা তারকেশ্বরের জয়ীও কাঁপাবে বিশ্বকাপের ময়দান।
তারকেশ্বরের যিনি দায়িত্বে আছেন কো অর্ডিনেটর দ্বিজেন্দ্র পুরকাইত বলেন বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে গোটা বিশ্ব তাই জয়ীর চাহিদাও বেড়েছে দ্বিগুন। জয়ী এখন তিনটি নামে আত্মপ্রকাশ পেয়েছে , জয়ী স্ট্রাইকার, জয়ী চেলেঞ্জার এবং জয়ী ড্রিবলার।
জয়ী চলেঞ্জার এখন জার্মানি যাবার অপেক্ষায় এবং চিনেও যাবার প্রস্তুতি চলছে। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে, এবং আগামী দিনে বিশ্বকাপের ময়দানে জয়ী কে দেখার অপেক্ষায় গোটা বাংলা।
Be the first to comment