এক যুবক নতুন বাইক কিনে ফেরার পথে তাঁর লাইসেন্স দেখতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ির সেবক মোড় এলাকায়। ঘটনার সময় কর্তব্যরত শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীন পানিটাঙ্কি ট্র্যাফিক গার্ডের ASI ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই যুবকের কাছে বাইকের কাগজ ও লাইসেন্স চাইতেই এই বিপত্তি। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ করে ওই যুবক বলেন, “ট্র্যাফিক পুলিশ তাঁকে গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছে।”
শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড এলাকার বাসিন্দা কুশল শর্মা সেবক এলাকায় একটি শো-রুম থেকে বাইক কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় সেবক মোড় ট্র্যাফিক পয়েন্টে এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর বাইক দাঁড় করিয়ে লাইসেন্স দেখতে চান। অভিযোগ, লাইসেন্স দেখানো হলেও তাঁর বাইক আটকে রাখা হয়। বাইকের চাবি কেড়ে নেওয়া হয়।
ওই যুবক ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও করতে শুরু করেন। সেইসময় ট্রাফিক ASI স্বপন রায় ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। যদিও সেইসময় ওই যুবকের পাশে দাঁড়িয়ে একদল যুবক চিৎকার শুরু করেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযোগ, সেসময় ওই যুবক ট্রাফিক ASI ও সিভিক ভলান্টিয়ার তাপস বর্মণের গায়ে হাত তোলেন। ঘটনার পর ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে ওই বাইকে তালা মেরে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে অবশ্য বাইক সহ ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কুশল শর্মার অভিযোগ, ঘটনার ভিডিও করতে গেলে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। মোবাইল ফেরত চাইলে তাঁকে গুলি করে মারার কথা বলা হয়।
ASI স্বপন রায় বলেন, “ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে বন্দুক থাকে। আমার কাছে তো বন্দুকই নেই। কী করে গুলি করব? ওই যুবক শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন। আমার ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের গায়ে হাত তোলেন। মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন।”
শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থানে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। দ্রুত ওই ট্র্যাফিক পয়েন্টের সামনে ভিড় করে থাকা যুবকদের সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই যুবকের নাম, ফোন নম্বর সহ সমস্ত তথ্য নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পানিটাঙ্কি ট্র্যাফিক গার্ডের IC সুমিত সরকার বলেন, “ঘটনাটি জেনে মন্তব্য করব।”
Be the first to comment