২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির পর সবথেকে বেশি বাতিল ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট জমা পড়েছে আমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কে। এই ব্যাঙ্কের ডিরেকটর বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। এই ব্যাঙ্কে মাত্র পাঁচদিনে ৭৪৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বাতিল নোট জমা পড়ছে। আরটিআইয়ের জবাবে জানা গিয়েছে এই তথ্য। কালো টাকা সমবায় ব্যাঙ্কে জমা পড়ছে এই সন্দেহে ১৪ নভেম্বর থেকে সমবায় ব্যাঙ্কে নোট জমা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট অনুসারে অমিত শাহ এখনও ডিরেকটর। বহুদিন ধরেই তিনি ডিরেকটর রয়েছেন। ২০০০ সালে তিনি ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানও ছিলেন।২০১৭ সালে সমবায় ব্যাঙ্কটির মোট আমানত ছিল ৫০৫০ কোটি টাকা।
২০১৬-২০১৭ সালে নিট লাভ ছিল ১৪ কোটি ৩১ লাখ। এরপরেই আছে রাজকোট জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক। এটির চেয়ারম্যান জয়েশভাই ভিঠ্ঠলভাই রোদদিয়া। তিনি গুজরাট সরকারের মন্ত্রী। বাতিল নোট সেখানে জমা পড়েছে ৬৯৩ কোটি ১৯ লাখ। রাজকোট বিজেপির রাজনৈতিক ভরকেন্দ্র, ২০০১ সালে নরেন্দ্র মোদি এখান থেকেই প্রথম বিধায়ক হন। অথচ প্রধান সমবায় ব্যাঙ্ক গুজরাট রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কে বাতিল নোট জমা পড়েছে মাত্রই ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। আরও জানা গিয়েছে, ৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, ৩২টি রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, ৩৭০টি জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক এবং ৩৬টি ডাকঘরে ৭ লাখ ৯১ কোটি বাতিল নোট জমা পড়েছে। নোটবন্দির ১৫ মাস পরে কেন্দ্র জানায়, ৯৯ শতাংশ বাতিল নোটই ফিরে এসেছে।
Be the first to comment