ঋণ মেটানোর সবরকম চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমাকে ঋণ খেলাপিদের ‘পোস্টার বয়’ করে দেওয়া হল। আমার প্রতি দেশের মানুষের ক্রোধ এখন জমাট বেঁধে ইস্পাত দণ্ডের মতো হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লেখা চিঠি প্রকাশ্যে এনে মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করল ঋণ খেলাপি ও দেশত্যাগী শিল্পপতি বিজয় মালিয়া। দীর্ঘ মৌনতা ভেঙে কিংফিশার কর্তা জানান, ‘বাধ্য হয়ে’ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠি প্রকাশ্যে আনতে হল। কিন্তু, ঋণ না মিটিয়ে দেশ ছাড়ার পর এতদিন চুপ থেকে হঠাত্ এখন মুখ খোলার কারণ কী? মালিয়া নিজেই জানাচ্ছেন, “২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে আমি চিঠি লিখি। বিষয়টি স্পষ্ট করতেই সেইসব চিঠি সামনে আনলাম। এই চিঠিগুলির কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি মন্ত্রীদের দফতর থেকে”। এখানেই না থেমে মালিয়ার আরও দাবি, “বিশ্বাস করুন, ব্যাঙ্কের সঙ্গে সবকিছুর সুষ্ঠু সমাধান করতে আমি ইতিমধ্যে সচেষ্ট হয়েছি এবং চেষ্টা চালিয়েও যাচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনও হস্তক্ষেপ হয়, তাহলে আমার আর কিছু করার নেই।” এরপরই তার অভিযোগ, সিবিআই ও ইডি ফৌজদারি ধারায় মামলা করার জন্য ‘দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’ হয়ে উঠেছে। মালিয়ার কথায়, “আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্পদ বিক্রি করে ব্যাঙ্কের ঋণ মেটানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে ইডি এই আবেদনের বিরোধিতা করে…ফলে আমার সন্দেহ হচ্ছে, আমি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির ঋণ মিটিয়ে দিই, এটা আদৌ সরকার চায় তো?”
বিজয় মালিয়ার এই অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। সিবিআই-ইডিকে কাঠগোড়ায় তোলার পাশাপাশি যে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপে’র কথা এই ঋণ খেলাপী শিল্পপতি তুলেছে, তা নিয়েই এখন বিস্তর জলঘোলার সম্ভবনা দেখছে ওয়াকিবহাল মহল
Be the first to comment