তৃণমূলকে জমি ছাড়া যাবে না। বাংলায় পঞ্চাশ শতাংশের বেশি লোকসভা আসন জিততে হবে। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের টার্গেট বেঁধে দিলেন দলের সভাপতি অমিত শাহ। দু’হাজার উনিশে ভাল রেজাল্টের জন্য উত্তরপ্রদেশ মডেলে দলের আইটি সেল-কে কাজ করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যের ৭৭ হাজার বুথে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তবে সেই নির্দেশ পালন করতে পারেনি রাজ্য নেতৃত্ব। তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি।
লোকসভা ভোটে বাংলায় বেশ কয়েকটি আসনে জয় নিয়ে আশাবাদী বিজেপি নেতারা। কিন্তু, বাস্তবে তার সম্ভাবনা কতটা তা শুরুতেই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেন অমিত শাহ। বুধবার শহরে পা রেখেই বন্দরের অতিথিশালায় দলের নির্বাচন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে দলীয় নেতাদের কাছ থেকে রিপোর্ট নেন। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন দলের সভাপতি। বাংলার ৫০ শতাংশ লোকসভা আসনে জিততে হবে। পারলে আরও বেশি আসনে জিততে হবে। লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় লাগাতার প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, বারবার বলার পরও রাজ্যের সর্বত্র বুথ কমিটি তৈরি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি সভাপতি।
হাওড়ার শরত্ সদনে এদিন দলের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন অমিত শাহ। আইটি সেলের কাজে যে তিনি সন্তুষ্ট নন তা বুঝিয়ে দেন বিজেপি সভাপতি। নির্দেশ দেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলতে হবে। উত্তরপ্রদেশ মডেলে তৈরি করতে হবে বুথভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। বাংলায় সন্ত্রাসের জবাব দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাতে হবে।ফেসবুক ফ্রেন্ডদের মধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে হবে। জোর দিতে হবে গ্রামে।
শরত্ সদনে ছিলেন বিএসএফের প্রাক্তন আইজি সমীর মিত্র। সেখান থেকে অমিত শাহ যান জিডি বিড়লা সভাঘরে। সাহিত্যসম্রাটের জন্মদিবসে বুদ্ধিজীবীদের সামনে বঙ্কিমচন্দ্র স্মারক বক্তৃতা দেন তিনি। জিডি বিড়লা সভাঘরে ছিলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ, পূরবী রায়, অচিন্ত্য বিশ্বাস, অমিত্রসূদন ভট্টাচার্যরা। কার্ড বেশি, সিট কম থাকায় তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। ভিড়ের জেরে সংবাদমাধ্যমের একাংশও ঢুকতে পারেনি। পুলিস আগেভাগেই গেট বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।
Be the first to comment