রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী সুখেন্দু শেখর রায়কেই সমর্থন জানাবে বলে ঠিক করেছে কংগ্রেস। ‘এনডিটিভি’-র প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন কংগ্রেসের হাতে থাকলেও লোকসভা ভোটের আগে অ-বিজেপি শক্তিকে একজোট করে বিজেপিকে সংসদের অন্দরে হারানোর জন্যই রাহুল গান্ধীর দল এমন কৌশল গ্রহণ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশনেই এই পদের জন্য মনোনয়ন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদে একটানা আসীন থেকেছেন কংগ্রেস সাংসদরা। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র আটটি বছর। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে মোট ৩ দফায় এই দায়িত্ব সামলেছেন অ-কংগ্রেসি দুই সাংসদ বি.ডি. খোবরাগাড়ে এবং গোদে মুরাহরি। সাধারণত, ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের ডেপুটি চেয়ারম্যন পদে নির্বাচন হয় না। মোটামুটি সহমতের ভিত্তিতেই নির্বাচিত হন উপরাষ্ট্রপতির অবর্তমানে রাজ্যসভা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারী। তবে ২৬ বছর আগে ১৯৯২ সালে শেষবারের মতো এই পদে লড়াই দেখেছিল সংসদ। সেবার কংগ্রেস প্রার্থী নাজমা হেপতুল্লার (বর্তমানে বিজেপি-তে) কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তত্কালীন বিরোধী প্রার্থী রেণুকা চৌধুরী (বর্তমানে কংগ্রেসে)। নাজমা পেয়েছিলেন ১২৮ ভোট, অন্যদিকে রেণুকার ঝুলিতে এসেছিল ৯৫ ভোট।
কিন্তু, এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদে বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনী না ছাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে শাসক বিজেপি। ফলে, এই আপাত অবিতর্কিত পদ নিয়েও হাওয়া গরম হচ্ছে ক্রমশ। এই মুহূর্তে ২৪৫ সদস্যের রাজ্যসভায় ৫১টি আসন রয়েছে কংগ্রেসের হাতে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদ বিশিষ্ট দল হিসাবে নিজেদের প্রার্থী দিতেই পারে কংগ্রেস। কিন্তু, বিজেপি যদি এই পদে নির্বাচন করানোর জন্য একরোখা মনোভাব দেখায়, সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকেই সমর্থন যোগানোর কথা ভাবছে কংগ্রেস। কারণ, সবকটি অ-বিজেপি দলকে এক সুতোয় গেঁথে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-কে হারানোর এমন মোক্ষম সুযোগ যদি চলেই আসে, তাহলে তার সদ্ব্যবহার করতে চায় কংগ্রেস।
এমনিতে, কংগ্রেস প্রার্থী দিলে তাঁকে সমর্থনের জন্য নবীন পট্টোনায়েকের বিজেডি বা কে চন্দ্রশেখর রাও-এর টিআরএস কতটা এগিয়ে আসবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রাহুল-সনিয়ার। ফলে, সুখেন্দু শেখর রায়কে প্রার্থী করা হলে অধিকাংশ বিরোধী দলের সমর্থনই নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি, কংগ্রেস যে ‘বড় ভাই’ সুলভ মানসিকতা ত্যাগ করেছে, কর্ণাটকের পর ফের সেই বার্তাও দেওয়া যাবে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলিকে
Be the first to comment