বিদায় থেকে স্তম্ভিত নীরবতা। এখনও বাস্তব মানতে পারছেন না জার্মান সমর্থকরা। এভাবে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বেই চলে যেতে হবে চ্যাম্পিয়নদের, মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ঘারবাষ্যকাররা বলছেন, ঐতিহাসিক লজ্জা। জার্মান কাগজে লেখা হয়েছে, আমাদের বিশ্বকাপের দুঃস্বপ্ন সত্য হল।
রাশিয়ার কাজান এরিনা স্টেডিয়ামে খেলাশেষের বাঁশি বাজার আগেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছিলেন বার্লিনের ফ্যান মাইলে জড়ো হওয়া দর্শকরা। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর গোটা জার্মানিজুড়ে এখন মন খারাপের হাওয়া। “রাউস” আর “আউফ ওয়াইডারসেহেন।” আউট আর বিদায়, গুডবাই। জার্মানির জার্সি গায়ে দর্শকরা চেঁচিয়ে বলছিলেন, এটা আমাদের জার্মানি নয়। এরা লড়তে জানে না। কেউ কেউ সোচ্চার সুযোগ নষ্ট করা নিয়ে। জার্মান টিমের অফিসিয়াল টুইটে শুধু এক লাইনের প্রতিক্রিয়া, “বাকরুদ্ধ।”
১৯৩৮ সালের পর এই প্রথম চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গেল। গ্রুপ এফের সবার নীচে তারা। এর আগে চ্যাম্পিয়ন স্পেনও ২০১৪ সালে গ্রুপ পর্যায়েই বেরিয়ে গিয়েছিল। এক অনুষ্ঠানে জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও তাঁর দুঃখ চেপে রাখতে পারেননি। জার্মানির প্রাক্তন গোলকিপার অলিভার কানের ভাষায়, জার্মানির খেলোয়াড়দের এখন নিশ্চয়ই তাদের জার্সিকে লক্ষ টন ওজন বলে মনে হচ্ছে। ১২ বছর টিমের দায়িত্বে থাকা জোয়াকিন লো জানিয়েছেন, এবার কী করবেন তিনি, তা ভাবছেন। সংবাদমাধ্যম বলছে, ৫৮ বছরের লো এবার সরে যাওয়ার কথাই চিন্তা করছেন।
Be the first to comment