বিশ্বকাপ দেখা মানেই রাত জাগা। শেষপর্যায়ে উত্তেজনা যত বাড়ছে ততই বাড়ছে রাত জেগে খেলা দেখার আগ্রহ। কী করে শারীরিক-মানসিক চাপ কাটাবেন দেখে নিন। রাতের খেলাগুলো দেখতে চাইলে রাতকে ভেঙে ফেলুন দু’ভাগে। আগে মনকে বোঝান, রাত জাগতে হবে। তারপর রাতের প্রথম ভাগের খেলা দেখে কোনও সময় নষ্ট না করে ঘুমোন বাকি রাত। এমনিতেই প্রথম ভাগের চেয়ে দ্বিতীয় ভাগে ঘুমের ঘনত্ব বেশি থাকে। তাই খেলা শেষ হওয়ার পর ফের তা নিয়ে আলোচনায় বসে সময় নষ্ট করবেন না। দ্বিতীয় ভাগে যতটা পারেন ঘুমিয়ে নিন। এতেই অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে।
সন্ধের পর থেকে যাই খাবেন, তাতে যেন কার্বোহাইড্রেট একেবারেই না থাকে। রাতে নিন চিকেন স্যুপ বা স্যালাড। সঙ্গে অনেকটা ড্রাই ফ্রুটস। যা পেট তো ভরাবেই, সঙ্গে সাহায্য করবে রাত জাগতে। রাত জাগতে হলেই দরকার ব্ল্যাক কফি বা ডার্ক চকোলেট, নিদেনপক্ষে চিপস। কিংবা দু’-এক পেগ স্কচ— এ সব ধারণা থেকে আগে সরুন। ক্যাফিন, যা কি না সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করতে পারে, এমন খাবার একেবারেই নয়। এ সব সরিয়ে বরং ডিনারে রাখুন হালকা মিষ্টি জাতীয় খাবার।
সিগারেট এড়িয়ে চলুন। এমনিতে তামাক শরীরের নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করার সঙ্গে হার্ট সিস্টেমেরও ব্যাঘাত ঘটায়। রাত জাগলে অন্যান্য দিনের রুটিন হেরফের হয়ে যায়। তাই শরীরের সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে যারা একেবারেই ব্যায়াম করেন না, তারাও হালকা ব্যায়াম করুন নিয়মিত। সারা দিনে সময় পেলেই ঘুমিয়ে নিন মিনিট পনেরো-কুড়ি। অনেকেই পারেন এমন। সারাদিনের ফাঁকে এমন বিরতি নিলে রাত জাগা হবে অনেক সহজ।
Be the first to comment