কোন ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথা বলেন বেলজিয়ামের ফুটবলাররা? কোচ নির্দেশ দেন খেলোয়াড়দের। মাঠে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন ফুটবলাররা। কিন্তু বেলজিয়ামের মতো বহু ভাষাভাষি একটা দল নিদের মধ্যে কোন ভাষায় কথোপকথন করেন? জানা গিয়েছে, ডাচ নয়, ফরাসিও নয়। তাঁরা কথা বলেন ইংরেজিতে। কোনও ভাষায় প্রাধান্য নেই এটা বোঝাতেই এই ব্যবস্থা। মাঠেও তাই। ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলায় তাঁদের ইংরেজিতে কথা বলতে শুনে অবাক ব্রিটিশ প্রেস। বেলজিয়ামের উত্তরভাগের বাসিন্দাদের বেশিরভাগেরই ভাষা ডাচ। বাকিদের বেশিরভাগ কথা বলেন ফ্রেঞ্চে। একটা ছোট জার্মানভাষী বেলজিয়ান অংশও রয়েছে। তাই বেলজিয়ান খেলোয়াড়দের মাতৃভাষা আলাদা আলাদা। যেমন কেভিন ডি ব্রুয়েন্সের মাতৃভাষা ডাচ। আবার ইডেন হ্যাজার্ভের ফরাসি। স্পেনের রবার্তো মার্তিনেজ সামলাচ্ছেন কোচের দায়িত্ব।
২০১৪ সালে সাংবাদিক বৈঠকে বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার থমাস হার্মিলান বলেছিলেন ডাচ ভাষায়, অ্যাক্সেল উইটসেল ফরাসিতে। দুই ভাষাভাষীর জন্য তারা আলাদা সাংবাদিক বৈঠক করে থাকেন। বেলজিয়ামে ভাষায় ভিত্তিতেই সবকিছু ভাগ হয়, রাজনৈতিক দল থেকে স্কুল, পত্রপত্রিকা। রোমেলু লুকাকুর জন্ম জন্ম অ্যান্টওয়ার্পে। লুকাকু অনর্গল বলতে পারেন ৬টি ভাষা — ডাচ, ফ্রেঞ্চ, ইংলিশ, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ আর সোয়াহিলি। দলের ক্যাপ্টেন ভিনসেন্ট কোম্পানি বলতে পারেন ৫টি ভাষা। কিন্তু কয়েকজন আবার ফরাসি ছাড়া আর কিছুই বলেন না। একই অবস্থা বহু ভাষাভাষী সুইজারল্যান্ডেও। সেই টিমে ভাষা অনুযায়ী খাবর টেবিল ভাগাভাগি হয়
Be the first to comment