গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। ড্র করলেই বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যাবে নাইজেরিয়া। ম্যাচের চার ঘণ্টা আগে সেই ভয়ঙ্কর খবরটি পেয়েছিলেন নাইজেরিয়ার অধিনায়ক জন ওবি মিকেল। মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণ করা হয় তাঁর বাবাকে। ছিল খুনের হুমকিও। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বাবা, অন্যদিকে বিশ্বকাপের নকআউটে যাওয়ার হাতছানি নাইজেরিয়ার সামনে। শেষপর্যন্ত আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই পড়েন জন ওবি মিকেল।
২৬ জুন আর্জেন্টিনার কাছে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে নাইজেরিয়া। ম্যাচের সাত দিন পর ‘দ্য গার্ডিয়ান’কে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই জানালেন নাইজেরিয়া অধিনায়ক। তিনি বলেন, “আমি দ্বিধার মধ্যে ছিলাম। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা জানতাম ১৮ কোটি নাইজেরিয়ানকে আমি হতাশ করতে পারি না।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “অবশ্যই মাথা থেকে বিষয়টা ঝেড়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলাম এবং খেলতে নেমেছিলাম। নাইজেরিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করাটা সবার আগে। আমাকে বলা হয়েছিল, যদি আমি কাউকে অপহরণের বিষয়ে কিছু বলি তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে গুলি করা হবে। আমি কাউকে কিছু জানায়নি, কারণ আমি চাইনি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিনে আমার সমস্যা কোচ এবং দলের বাকিদের মনোসংযোগ নষ্ট করে দিক।”
২৬ জুন নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মিকেলের বাবা পা মাইকেলকে অপহরণ করা হয়। প্রায় এক সপ্তাহ পর অপহরণকারীদের হাত থেকে মিকেলের বাবা ও গাড়ির চালককে উদ্ধার করে নাইজেরিয়ার পুলিস। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন মিকেলের বাবা। অপহরণকারীরা শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন জন ওবি মিকেল।
Be the first to comment