দিল্লির বুরারি ভাটিয়া পরিবারের ললিত শ্মশানে ঘুরে বেড়াত। বিশ্বাস ছিল ভূতপ্রেতে। ওই পরিবারের ১১ জনের মৃত্যুর তদন্তে যুক্ত গোয়েন্দারা একথা জানিয়েছেন। উত্তর দিল্লির সন্তনগরে তাদের বাড়িতে পাওয়া খাতা থেকে জানা গিয়েছে এই তথ্য। খাতায় হাতের লেখা তার ভাগ্নি মৃত প্রিয়াঙ্কার। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ভূত, জ্যোতিষ ও আত্মা সম্পর্কিত একটি ফেসবুক পেজে লাইক করেছিল প্রিয়াঙ্কা। শুধু ইউটিউব ও তার মোবাইলে আধিভৌতিক ভিডিও দেখাই নয়, ললিত রীতিমতো গবেষণা করেছিল মৃত্যু আর আত্মার রহস্য নিয়ে। রাজস্থানের উদয়পুরে ললিতের শ্বশুরবাড়িতেও গিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। ললিতের স্ত্রী টিনাও ৩০ জুন বাকি ১০ জনের সঙ্গেই মারা গিয়েছেন। বাপের বাড়িতে টিনা কিছু জানিয়েছিল কিনা তা জানতেই তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ১৪ জুন থেকে সন্তনগরের ওই বাড়িতে যে ১৩ জন থেকেছিলেন, তাদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কার বাগদান অনুষ্ঠানের জন্য তাঁরা এসেছিলেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পরই মৃত্যুর আয়োজন হয়েছিল। তবে তন্ত্রসাধিকাগীতা মা-কে ক্লিন চিট দিয়েছে পুলিশ।
Be the first to comment