উত্তরবঙ্গ সফরে এসেই সরকারের ব্যয় সংকোচন নিয়ে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। উত্তরকন্যায় জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন । বৈঠকের শুরুতেই সরকারের ব্যয় সংকোচ নীতি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমার কাজের জায়গা মানে এটা নয় যে বিলাসবহুল হোটেল হতে হবে। আমি একটা সরকারি অফিসকে ফাইভ স্টারের হোটেলের মতো করে তৈরি করব কেন? আমাকে তো টাকার জোগান দিতে হচ্ছে।’ উত্তর দিনাজপুরে কৃষক ভবন তৈরির প্রসঙ্গ টেনেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক থেকে দেড় কোটি টাকার মধ্যেও ভালো বিল্ডিং হয়। আগে পাঁচ লাখ টাকা দিলেই লোকে খুশি হত। এখন দেড়-দু কোটি টাকার নিচে কেউ কথাই বলে না। কিছুদিন আগে উত্তর দিনাজপুরে একটা কৃষক ভবন তৈরির জন্য ১৯ কোটি টাকার প্রোজেক্ট পাঠিয়েছে। তার মানে যার যা ইচ্ছে করে যাচ্ছে।’ দেনা শোধের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখনও পর্যন্ত ২ লাখ ২৪ কোটি হাজার টাকার দেনা শোধ করেছি। এ বছরও ৪৬ হাজার কোটি টাকার দেনা শোধ করতে হবে। তারপর আবার ৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া ডিএ দিতে হবে। ‘টাকা সাশ্রয় করুন। সরকারের টাকা নিজের টাকা বলে ভাবুন,। গজলডোবায় ‘ভোরের আলো’ প্রজেক্টের অগ্রগতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এই নিয়ে গৌতম দেবের কাছে কৈফিয়তও চান তিনি। সময় মতো কেউ প্রজেক্টের কাজ শেষ না করলে টেন্ডার বাতিল করার কথাও বলেন তিনি।
Be the first to comment