অবশেষে মাস্টার ব্লাস্টারের সঙ্গে দেখা হল ‘ফুচকাওয়ালা’ যশশ্বীর। সৌজন্যে সচিন পুত্র অর্জুন। আর প্রথম সাক্ষাতেই অনূর্দ্ধ ১৯ দলে সুযোগ পাওয়া ওই ‘ফুচকাওয়ালা’-র হাতে ব্যাট তুলে দিলেন জীবন্ত কিংবদন্তী। সই-সহ সচিন তাতে লিখে দিয়েছেন, “ক্রিকেট উপভোগ করো এবং সবসময় নিজের সেরাটা দাও”।
উল্লেখ্য, যশশ্বী জয়সওয়াল আসলে অর্জুন তেন্ডুলকরের বন্ধু। এবার শ্রীলঙ্কা সফরে ভারত যে অনূর্দ্ধ ১৯ দল পাঠাচ্ছে, তাতে সচিন পুত্রের সঙ্গেই রয়েছে এই ‘বিস্ময় বালক’ও। যশশ্বী মুম্বইয়ের রামলীলা ময়দানের কাছে ফুচকা বিক্রি করে। মাথার ওপর ছাদ বলতে এতদিন খোলা আকাশই ছিল ওর একমাত্র ভরসা। কয়েকদিন হল রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই জোগাড় করেছে যশশ্বী। আজাদ ময়দানের মুসলিম ইউনাইটেড ক্লাবের তাবুই এখন ওর ঠিকানা। গ্রাউন্ড’স ম্যানের সঙ্গেই থাকে এই ক্রিকেটার। আগে ‘চাকরি’ করত দুধের দোকানে। অর্জুন এই সবকিছুই জেনেছে খবরের কাগজ পড়ে। তারপর বাবাকেও জানায় বন্ধুর কথা। সব শুনে সচিনই অর্জুনকে বলে যশশ্বী যেন তাঁর সঙ্গে এসে দেখা করে। অর্জুনের মুখে সচিনের আমন্ত্রণের কথা শুনে প্রথমে হতচকিত হলেও, পরে ‘ঈশ্বর’ দর্শনের মওকা লুফে নেয় যশশ্বী।
শনিবার সচিনের সঙ্গে দেখা করেন এই কিশোর ক্রিকেটার। আর দেখা মাত্রই ‘শিক্ষক’ সচিনের কাছে নিজের প্রশ্নের ঝাঁপি খোলে যশশ্বী। ‘কভার ড্রাইভ মারতে গিয়ে তিনবার আউট হয়েছি। এই সমস্যার পরিত্রাণ কী’? খুদে ক্রিকেটারের প্রশ্নে সচিন জানিয়েছেন, নেট প্র্যাকটিসের সময় মনোসংযোগ বাড়াতে হবে। সচিনের মাস্টারক্লাস থেকেই যশশ্বী জেনেছে, পেস বোলারকে কীভাবে ফ্রন্ট ফুট বাড়িয়ে কভার ড্রাইভ মারতে হবে। কভার ড্রাইভ মারার সময় কোন বিষয়ে খেয়াল না রাখলে উইকেট খোয়াতে হবে, সে বিষয়েওযশশ্বীকে সচিন টিপস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মাস্টার ব্লাস্টারের এই ক্লাসে বেজায় খুশি যশশ্বী জয়সওয়াল। তবে আক্ষেপ একটাই, ‘ঈশ্বরের’ দর্শন হলেও তাঁর সঙ্গে ছবি তোলা হয়নি তার।
Be the first to comment