মুর্শিদাবাদের মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ভজু শেখের সাহায্যে ১৫ বিঘা জমিতে একটি কারখানা বানিয়েছিল চিনারা। সিআইডি জানাচ্ছে, সেখানকার গ্রামবাসীদের বলা হয়েছিল, সেখানে কালির কারখানা হয়েছে। কিন্তু ৪ জুলাই সেখানে হানা দিয়ে পুলিশ প্রায় ২ কিলো অ্যাম্ফেটামাইন ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। গত ২৯ জুন কলকাতা স্টেশন থেকে জিআরপি পাঁচ চিনা নাগরিককে ধরে। তাদের কাছ থেকে ২০০ কিলো অ্যাম্ফেটামাইন ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। এর দাম ৪০ কোটি টাকা। সিআইডি বিষয়টির তদন্তে নেমেছে। এই ট্যাবলেট এদেশে নিষিদ্ধ। ২৭টি প্যাকেটে এই ট্যাবলেট চিন ও মায়নমার থেকে এদেশে এসেছিল। ভারত ও বাংলাদেশের বড় শহরগুলিতে পাচারের জন্য সেগুলি আনা হয়েছিল। এই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করতে মার্কিন মাদক নিয়ন্ত্রণের অফিসাররা মঙ্গলবার ভবানীভবনে যান। তাঁরা আটক চিনাদের জেরা করেন।
জানা গিয়েছে, চিনের গুয়াংদংয়ের মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে এই চিনাদের যোগ রয়েছে। তাদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ মার্কিন মাদক পাচারকারীদের। অন্যদিকে, কীভাবে নজর এড়িয়ে মুর্শিদাবাদে চিনারা মাদকের কারবার চালাচ্ছিল, তা নিয়ে বিস্মিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্যের সাহায্যে একটা বিরাট এলাকা জুড়ে যেভাবে পাঁচজন চিনা মাদকের কারবার খুলে বসেছে, তা জেলা প্রশাসনের ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন তিনি। কোচবিহারে জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে নজর এড়িয়ে মাদকের কারবারে ক্ষোভ জানান তিনি। “আমি অবাক হচ্ছি, কেন ওই এলাকায় চিনারা ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখেও পুলিশের অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়ল না! আমাদের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। পুলিশের সিনিয়র অফিসারদেরও চোখে পড়েনি।
Be the first to comment