এবার ভগবান শ্রীরামচন্দ্রকে আশ্রয় করল সিপিএম। কেরলে ১৭ জুলাই থেকে একমাস রামায়ণ মাস পালন করবে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)। ২৫ জুলাই হবে রামায়ণ নিয়ে আলোচনা। বুথস্তর পর্যন্ত পার্টিতে রামায়ণের ক্লাস হবে। রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের রাজ্য সম্পাদক শিবদাসনকে এই রামানুশীলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা সনাতন রামের বদলে রামের মার্কসীয় ব্যাখ্যা। রাজ্যজুড়ে রামায়ণ প্রচারে দলের সংস্কৃত সংঘমের শিক্ষক ও সংস্কৃতজ্ঞদের কাজে লাগাবে। তাঁরা রামায়ণ ব্যাখ্যা করে বেড়াবেন, বিতর্ক করবেন। বাল্মিকী রামায়ণের সঙ্গে অধ্যাত্ম্য রামায়ণের পার্থক্য বোঝাবেন। আরএসএসের ক্রবর্ধমান প্রভাবের মোকাবিলাতেই এই সিদ্ধান্ত।
তিনবছর আগে কান্নুরে সিপিএম শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তীতে বাচ্চাদের কৃষ্ণ সাজিয়ে শোভাযাত্রা করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। তারপর থেকে শোভাযাত্রা করে আসছে প্রতিবছরই। আরএসএস বালগোপালম শোভাযাত্রা করছে পাঁচ দশক জুড়ে। সমালোচনার মুখে গোড়ার দিকে শোভাযাত্রায় কৃষ্ণের পাশে নারায়ণগুরু, আয়ানকালি, ভগত সিং, গান্ধি, আবদুল কালামদের রাখলেও পরে হাঁটতে শুরু করে আরএসএসের পথেই।
গত কয়েক মাস ধরেই পার্টির তাত্ত্বিক নেতারা এজন্য সংস্কৃত শিক্ষকদের নিয়োগ করছেন। দলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে শিবদাসন ঘন ঘন বসছেন, যাতে একমাস ধরে রামায়ণ মালয়ালমে শিক্ষা ও ব্যাখ্যা করা যায়। রামায়ণের নানা পাঠ নিয়ে দলে এখন বিতর্ক চলছে।
আশির দশক পর্যন্ত পার্টির সদস্যরা মন্দিরে যেতে পারতেন না। তবে তাদের স্ত্রীরা যেতেন। এমনকী, ইএমএস নাম্বুদ্রিপাদের স্ত্রী অন্তরজনমও পুজোপাঠ করতেন। পরে ধীরে ধীরে সিপিএমের নেতারা মন্দিরে যেতে শুরু করেন। এমনকী, কংগ্রেস বা আরএসএসের নেতাদের মতো তারাও মন্দির কমিটিগুলিতে ঢুকতে শুরু করে দেন। যুক্তি দেওয়া হয়, মন্দিরে বহু লোকের সমাগম হয়। তাই সেখানে যাওয়া উচিত।
Be the first to comment