শিলিগুড়িতে আধার কার্ড সহ ধরা পড়ার পর জেলা আদালত থেকে জামিন পেয়েছে এক চিনা নাগরিক। এই জামিনের বিরোধিতায় উচ্চ আদালতে যেতে পারে পুলিশ। এনিয়ে এখন জোর প্রস্তুতি চলছে গোয়েন্দা বিভাগে।
১৬ জুন শিলিগুড়িতে গ্রেপ্তার হয় চিনা নাগরিক পু উয়াং। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় আধার কার্ড, ডলার ও নেপাল ও ভুটানের টাকা। পুলিশ পু উয়াংয়ের সহযোগী নেপালের বাসিন্দা গণেশ ভট্টরাই ও বিপুল আগরওয়াল নামে দুই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করে। তদন্তে দেখা যায়, নাম ভাঁড়িয়ে আধার কার্ড বানিয়ে শিলিগুড়ির এক হোটেলে উঠেছিলেন পু উয়াং।
পরে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে রাজ বাশকোটে, প্রকাশ ঘিমিরে ও গৌরী শংকর সাউ নামে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যে আধার কেন্দ্র থেকে চিনা নাগরিকের আধার কার্ড তৈরি হয়েছিল সেই কেন্দ্রেও পৌঁছায় পুলিশ।
২ জুলাই জেলা আদালত থেকে মূল অভিযুক্ত পু উয়াং জামিন পেয়ে যায়। জামিন পায় নেপালের বাসিন্দা গণেশ ভট্টরাইও। পুলিশের বক্তব্য, যে সময়ে আদালত থেকে জামিন মিলেছিল, সেই সময়ে মামলা প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। তদন্ত তখন সবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু, তড়িঘড়ি জেলা আদালত থেকে দুই অভিযুক্ত জামিন দিয়ে দেওয়ায়, তদন্তের অসুবিধা হতে পারে।
চিনা নাগরিক হয়ে ওই ব্যক্তি কীভাবে আধার কার্ড তৈরি করাল ? কেন তা তৈরি করাল ? তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধৃত চিনা ব্যক্তির কাছ থেকে এক লাখ ৩২ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই টাকার উৎসও জানা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে জেলা আদালতের জামিনের সিদ্ধান্ত খারিজের দাবিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, “চিনের ওই নাগরিকের কাছে আধার কার্ড থাকাটা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক। যে চক্রের মাধ্যমে নাম ভাঁড়িয়ে আধার কার্ড তৈরি করানো হয়েছিল, সেই চক্রের সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা আদালত থেকে দু’জন জামিন পাওয়ার পর বাকিরাও CJM আদালত থেকে জামিন পায়। আমরা দুই বিদেশি নাগরিকের জামিন খারিজ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছি। পাশাপাশি জেলা আদালতের মাধ্যমে আধার কর্তৃপক্ষের কাছে ওই আধার কার্ড নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হবে। মামলায় নতুন কিছু সূত্র মিলেছে। তাই জামিন খারিজ হলে প্রয়োজনে ফের ওই নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্রুত মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।”
Be the first to comment