জনসমক্ষে কেঁদে ফেললেন কুমারস্বামী, কর্ণাটকে গেরুয়া সরকারের ইঙ্গিত?

Spread the love
কর্ণাটকে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কি কাঁটার মুকুট পরেছেন এইচডি কুমারস্বামী? শুক্রবার দলের সভামঞ্চে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। ইঙ্গিত দিলেন, জোট সরকারে খুশি নন তিনি। ফলে আবার প্রশ্ন উঠে গেল, কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের আয়ু আর কত দিন?
দলের জনসভায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”আপনাদের দাদা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে বলে ফুলের তোড়া নিয়ে আমাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। আপনারা সকলেই খুশি। কিন্তু আমি নই। জোট সরকারের ব্যাথ্যা অনুভব করছি। আমি নীলকণ্ঠ হয়ে একাই কষ্ট সহ্য করছি”। কুমারস্বামীর এই মনোবেদনা নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের প্রতিক্রিয়া, ”কীভাবে এটা উনি বলতে পারেন? মু্খ্যমন্ত্রীকে খুশি থাকতে হবে। উনি খুশি থাকলেই তো আমরা আনন্দে থাকব।”    
২৩ মে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন এইচডি কুমারস্বামী। যদিও আসন সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে ছিল জেডিএস। বৃহত্তম দল বিজেপিকে ঠেকাতে কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে জোট সরকার গঠন করে কংগ্রেস। কুমারস্বামীর শপথের মঞ্চে ধরা পড়ে বিরোধী ঐক্যের ছবি। দাক্ষিণাত্য থেকে ২০১৯ সালের মহাজোটের প্রস্তুতি শুরু হল বলে দাবি করে কংগ্রেস। কুমারস্বামীর শপথগ্রহণের পর স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রক নিয়ে দুই দলের মধ্যে শুরু হয় দড়ি টানাটানি। তার মীমাংসা হলেও কুমারস্বামী জানান, কংগ্রেসের দয়ায় তিনি সরকারে রয়েছেন। সম্প্রতি বাজেট পেশ নিয়েও দু’দলের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
কংগ্রেস ও জেডিএসের মধ্যে যে সমস্যা রয়েছে, তা স্পষ্ট ঘটনার প্রবাহে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে জনসমক্ষে ভেঙে পড়ায় জোটে ভাঙনের ইঙ্গিত মিলছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। সেক্ষেত্রে কর্ণাটকে সরকার গড়ার দরজা খুলবে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত কর্ণাটকে সরকার টিকিয়ে রাখতে না পারলে মুখ পুড়বে কংগ্রেসের। একইসঙ্গে ধাক্কা খাবে মহাজোট গঠনের প্রক্রিয়ায়। জনমানসে বার্তা যাবে, জোটে সরকার চালাতে অপারগ বিরোধীরা। ফলে কর্ণাটকে বর্তমান পরিস্থিতি সামলানোই রাহুল গান্ধীর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন দেখার কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন কংগ্রেস সভাপতি?  

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*