বাঁকুড়া জেলার সঙ্গে জঙ্গলমহলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম খাতড়ার কেচন্দা সেতু। কিন্তু শীলাবতী নদী থেকে সেতুর উচ্চতা ছিল কম। অতিবৃষ্টি বা মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়লেই তলিয়ে যেত সেতুটি। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে ওই সেতুটির পাশেই নতুন করে একটি উঁচু সেতু নির্মাণ করান। বর্ষায় যাতায়াতের দুর্ভোগ কেটেছে জঙ্গলমহলে। বাঁকুড়ার ঝিলিমিলি, রানিবাঁধ, বারিকুল, বান্দোয়ানের মত জঙ্গলমহল এলাকার সঙ্গে জেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম খাতড়ার কেচন্দা সেতু। কিন্তু বর্ষা এলেই দুর্ভোগের সীমা থাকত না। অতিবৃষ্টি বা মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার পর ডুবে যেত সেতু। শীলাবতী নদীর জল উপচে পড়ত সেতুর পর। এক থেকে দেড়মাস তখন প্রায় যোগাযোগ বন্ধ থাকত জঙ্গলমহলের সঙ্গে। বিপজ্জনকভাবে সেতু পারাপার করতে গিয়ে ঘটেছে দুর্ঘটনাও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলের দাবি শুনেছিলেন । ২০১৪ সালে ওই সেতুটির পাশেই একটি নতুন করে সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালে কাজ শেষে তিনি নিজেই সেতুটির উদ্বোধন করেন। নদী থেকে অনেক উঁচু হওয়ায় সেতু ডুবে যাওয়ার সমস্যাও মিটেছে। খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। বর্ষার সময় সেতু বন্ধ থাকলে প্রায় ৩২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরপথে যেতে হত স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিকল্প সেতু নির্মাণের আবেদন শোনেনি বাম সরকার। নতুন সরকারের উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্ষাকাল এলেও এখন আর চিন্তা নেই। জঙ্গলমহলের সঙ্গে বাঁকুড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না। খাতড়ার কেচন্দা সেতুতে দুর্ঘটনার স্মৃতি আজ অতীত।
Be the first to comment