একের পর এক নৃসংশতার নজির গড়ে তুলছে এই দেশ ৷ ঘটনার বিভৎসতা চমকে ওঠার মতো ৷ স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে সন্দেহে তাঁর গোপনাঙ্গে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারল স্বামী ৷ ওই যুবক ছত্তিশগঢ় আর্মড ফোর্স (সিএএফ)-এর জওয়ান ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগঢ়ের ভাটপাড়া জেলার বলদাবাজার এলাকায় ৷ জেরায় নিজের দোষ স্বীকারও করে নিয়েছে দান্তেওয়ারা জেলার ৬ নং ব্যাটেলিয়ানের কুক সুরেশ মিরি ৷ গতকাল বিকেলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ৷ এরপরেই বাথরুমে কাপড় কাচতে ঢোকেন সুরেশের স্ত্রী লক্ষ্মী ৷ তখনই বাথরুমে ঢুকে স্ত্রীকে এলোপাথারি মারতে শুরু করেন সুরেশ ৷ প্রচণ্ড মারে অজ্ঞান হয়ে যান লক্ষ্ণী ৷ এরপরেই স্ত্রীর গোপনাঙ্গে বিদ্যুতের তার ঢুকিয়ে সুইচ অন করে দেন সুরেশ ৷ বিদ্যুতের শকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লক্ষ্মীর ৷
সরগাঁওয়ের অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, জেরায় নিজের দোষ কবুল করে নিয়েছেন সুরেশ ৷ স্ত্রীর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত এই সন্দেহেই তাঁকে মেরে ফেলেছেন বলেও জানান সুরেশ ৷ রাজধানী রায়পুর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে ভাটপাড়ার একটি হাউজিং কলোনিতে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন সুরেশ-লক্ষ্মী ৷ গতকাল এই বাড়িতেই ২৭ বছরের লক্ষ্মীকে শক দিয়ে মারেন বছর তেত্রিশের সুরেশ ৷ স্ত্রীকে খুন করে শ্বশুর, শাশুরিকে নিজেই ফোন করে খবর দেন মিরি ৷ বলেন লক্ষ্মী অসুস্থ বোধ করছেন ৷ এরপরেই একটি ভ্যান ভাড়া করে স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে পাশের খাজরি গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে যান ওই জওয়ান ৷ কিন্তু সেখানেই স্ত্রীর মৃতদেহ দেখে সকলের সন্দেহ হয় ৷ তখনই পুলিশে খবর দেন লক্ষ্মীর বাবা-মা ৷ পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাচতদন্তে পাঠায় ৷ সুরেশকেও গ্রেফতার করা হয় ৷
Be the first to comment