শহিদ দিবসকে এবছর অঙ্গীকার দিবস হিসেবে পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস

Spread the love
পঁচিশে পা ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশের। শহিদ দিবসকে এবছর অঙ্গীকার দিবস হিসেবে পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে মোদি সরকারকে হঠানোর লক্ষ্যে কর্মীদের বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সভা ঘিরেই কলকাতা শহর জুড়ে কঠোর করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৷
এদিন, শহরের নিরাপত্তাকে আঁটোসাঁটো করতে সকাল ১০টা-সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত থাকবে কড়া নজরদারি ৷ বাড়ানো হল আরপিএফ কর্মী ও কমান্ডোর সংখ্যা ৷ ২৫০ জনের পরিবর্তে থাকবেন ৩৫৪ জন ৷ বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরবেন মহিলা অফিসাররা ৷ ৩ অফিসার, ১০ মহিলা কনস্টেবল থাকবেন ৷ নিয়োগ করা হয়েছে ডগ স্কোয়াড ৷
চাঁদনি চক, এসপ্ল্যানেড, পার্কস্ট্রিট, ময়দান ৷ পাহারার দায়িত্বে থাকবে কমান্ডো টিম সহকারী নিরাপত্তা কমিশনার থাকবেন তদারকিতে ৷ ২১ জুলাইকে মাথায় রেখে মেট্রোয় থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ৷
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে শেষ ২১ শে জুলাই। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। দিল্লির তখত থেকে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে সরাতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ফেডেরাল ফ্রন্ট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের তরফে প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃণমূল নেত্রীকে তুলে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে লোকসভা ভোটের প্রচারের সুর বেঁধে দেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই এবারের ২১ শে জুলাইকে অঙ্গীকার দিবস হিসেবে তুলে ধরছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। সভা করে গেছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ। মেদিনীপুরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা বানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
একুশের মঞ্চ থেকেই মোদিকে জবাব দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। ঘটনাচক্রে ২১ এর সমাবেশের আগের দিনই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় আলোচনা ও ভোটাভুটি হবে।
এবারেও ৫টি মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে।
প্রথম স্টেজে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ ফুট উঁচু এই মঞ্চ লম্বা ও চওড়ায় ৮ ফুট করে। দ্বিতীয়টি মূল মঞ্চ। এটি উচ্চতায় ১০ ফুট, লম্বায় ৫২ ফুট ও চওড়ায় ২৪ ফুট। এছাড়াও পাশে আরও ৩টি মঞ্চ করা হচ্ছে। সেখানে দলীয় নেতা, অতিথি ও জন প্রতিনিধিরা বসবেন। মঞ্চগুলি লোহার কাঠামোর ওপর প্লাইউড দিয়ে তৈরি হচ্ছে। পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা নিয়মিত মঞ্চ বাধার কাজে নজরদারি চালাচ্ছেন। কতজন মঞ্চে থাকতে পারবেন সেই সংখ্যাও বেধে দেওয়া হয়েছে।
ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য এক হাজার দলীয় স্বেচ্ছাসেবক থাকছে এবারের সভায়। স্বেচ্ছাসেবকরা হালকা বেগুনি রঙের পাঞ্জাবি পড়বেন, বুকে ঘাসফুল প্রতীক আঁকা থাকবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*