সুস্থ, গঠনমূলক, অবাধ বিতর্ক হোক। অনাস্থা বিতর্কের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সারা দুনিয়া আমাদের দেখছে। তাই আমাদের নিজেদের প্রমাণ দিতে হবে। টুইটারে সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে তাঁর মত জানিয়েছেন মোদি। লিখেছেন, আমাদের সংবিধান প্রণেতা ও জনগণের কাছে এজন্য কৃতজ্ঞ। অন্যদিকে, কংগ্রেস বলেছে, সংখ্যার খেলা নয়, সরকারের অপদার্থতা ও ব্যর্থতার মুখোশ খুলতেই তারা অনাস্থা এনেছে। কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা বলেছেন, অন্য বিরোধী দলের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সরকারের সামনে আয়না তুলে ধরা হবে। মানুষের বিভিন্ন দুর্দশা ও দাবি সংসদে পেশ করা হবে। প্রকৃত সত্য আনা হবে সামনে। প্রকৃতপক্ষে এটা হবে ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে প্রচারের সূত্রপাত। তাঁর দাবি, এনডিএ শরিকরা ছাড়ডা বিরোধীরা একজোট আছে। শুক্রবারের অনাস্থা বিতর্কে কংগ্রেসকে ৩৮ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। তাদের হয়ে অনাস্থার পক্ষে বলবেন রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। প্রস্তাবের উত্থাপক তেলুগু দেশমকে দেওয়া হয়েছে ১৩ মিনিট। তবে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত বিজেপিকে চিন্তায় রেখেছে তাদের সবথেকে পুরনো জোটসঙ্গী শিবসেনা। তাদের সব সাংসদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু ভোটাভুটিতে তারা কী করবেন, তা জানাবেন উদ্ধব ঠাকরে। আগে প্রতাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার যে হুইপ দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সংসদে শিবসেনার সাসংদ রয়েছেন ১৮ জন।
Be the first to comment