ডিজিটাল ক্লাসরুমে শিখছে শালবনীর বৈঁউচ্যা প্রাথমিকের কচিকাঁচারা

Spread the love

পিছিড়ে পড়া জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত কাশীজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত আদিবাসী অধ্যূষিত গ্রাম বৈঁউচ্যা। স্বাভাবিকভাবেই এই গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ আদিবাসী সমাজের ও প্রথম প্রজন্মের ছাত্র। গত ২০১৭ থেকে ততকালীন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অরুনাভ প্রহরাজ এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুস্মিত বাবু ও সহশিক্ষক এবং বিশিষ্ট কবি নির্মাল্য মুখাজীর অনুরোধে সদর উত্তর চক্রের একমাত্র ডিজিটাল ক্লাসরুমের জন্য অর্থবরাদ্দ করেন। সেই উদ্যোগে সেজে উঠেছে শালবনীর একমাত্র ডিজিটাল ক্লাসরুম। এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের সাথে যুক্ত পারুল ম্যাডাম,লক্ষীকান্ত স্যার এবং কৃষ্নেন্দু বাবু জানালেন শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহের সাথে এই পদ্ধতিতে শ্রেনীকক্ষে অংশগ্রহণ করে। নির্মাল্য বাবু জানান ইউপিএস টি খারাপ হয়ে যাওয়ায় খুব ঝুঁকির সাথে ব্যাবহার করতে হচ্ছে।

এলাকার ওসিএল সিমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে ঠান্ডা জলের কুলার সহ বিদ্যালয়ের মাঠ তৈরী সহ নানাবিধ সাহায্য পাওয়া গেছে বলে প্রধান শিক্ষক মহাশয় সুস্মিতবাবু জানান, এছাড়াও বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যায়নের জন্য মৃগেন মাইতির বিধায়ক তহবিলের টাকায় খোলা মঞ্চ ও পার্ক নির্মিত হলেও পাঁচিলের অভাবে রক্ষনাবেক্ষনে অসুবিধে হচ্ছে বলে প্বার্শশিক্ষক সূর্য্যকান্তবাবু ও স্থানীয় প্বার্শশিক্ষিকা বুবুন হাতি জানান। অলচিকি ভাষার নিযুক্ত প্বার্শশিক্ষক লক্ষীকান্ত বাবুকে এই বিদ্যালয়ে থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে বিদ্যালয়ে অলচিকি পঠনপাঠনের সুবিধা না থাকায়। বিদ্যালয় এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় অনেকে এসে মিড ডে মিলের শেডে শুয়ে থাকে ও মদের বোতল ভাঙ্গা থাকে এবং জলের ব্যবস্থা না থাকায় মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*