প্রত্যাশিতভাবেই লোকসভায় খারিজ হয়ে গেল বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব। সরকারের পক্ষে ভোট দিলেন ৩২৫ জন সাংসদ। আর বিপক্ষে ভোট পড়ল মাত্র ১২৬। ভোট দিয়েছেন ৪৫১ জন সাংসদ। অঙ্কের বিচারে এগিয়েই ছিল বিজেপি। বিরোধীদের হাতে যে সাংসদ সংখ্যা ছিল, তা দিয়ে শাসক দলকে কোনওভাবেই পরাস্ত করা সম্ভব হত না। সেই ফলই প্রতিফলিত হল ভোটাভুটিতে। শেষ হাসি হাসলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীই।
নিজের ভাষণে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালের আগে মহাজোটের শক্তি যাচাই করে নিতেই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী বলেন,”আমিই প্রধানমন্ত্রী হব বলে বলে বেড়াচ্ছেন একজন (পড়ুন রাহুল গান্ধী), অন্য দলগুলি যাতে তাতে স্বীকৃতি দেন, সেই চেষ্টা চলছে। এই প্রস্তাব আসলে নিজেদের শক্তি যাচাইয়ের অজুহাত। মোদীকে হঠাতে এমন সঙ্গীদের একজোট করা হচ্ছে। কংগ্রেসের বন্ধুদের পরামর্শ, আপনাদের সম্ভাব্য সঙ্গীদের পরীক্ষা নিন। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আনা উচিত হয়নি। সম্ভাব্য সঙ্গীদের উপরে ভরসা রাখুন। ১২৫ কোটি দেশবাসীর আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে রয়েছে”।
এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল মোদী-শাহের প্রাক্তন শরিক টিডিপি। তাতে সঙ্গ দিয়েছিল কংগ্রেসও। সনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে সংখ্যা রয়েছে। তার পাল্টা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীকে অঙ্কে কাঁচা বলে খোঁচা দিয়েছিল বিজেপি। এদিন ভোটাভুটির আগে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে শিবসেনা, এআইডিএমকে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপির শরিক উদ্ধব ঠাকরের দল।
Be the first to comment