লক্ষ্য বাংলা দখল। নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে তাই এবার শাসক তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শুরু করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডের পালটা সভা ডাকতে ঘণ্টাখানেকও সময় নেননি মুরলিধর স্ট্রিটের কর্তারা। বার্তা কিন্তু স্পষ্ট, তৃণমূলের জবাব আছে তাদের কাছে। তবে এমন পালটা সভার ধারা কিন্তু শুরু বামেদের হাত ধরেই। এবার সেই পথে বিজেপিও।
২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রায় সমস্ত সভারই পালটা সভা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বিরোধীদের ঘাঁটি এখন তাঁরই দখলে। যাতে ভরসা পেয়ে আরও বেশি মানুষ যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের ছাতার তলায়। সেই থেকে সমানে চলেছে পালটা সভার ধারা।
গত ১৬ জুলাই মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সভা ঘোষণা হতেই পালটা সভার ঘোষণা করে দিয়েছিল তৃণমূল। শনিবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৮ জুলাই পালটা সভায় হাজির থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী ও ফিরহাদ হাকিম।
তবে পাল্টা সভার এই ধারা কিন্তু শুরু হয়েছিল প্রায় ২ দশক আগে বামেদের হাত ধরেই। ১৯৯৩ সালের ২৪ নভেম্বর ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ থেকে বামফ্রন্টের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার পালটা ৩০ নভেম্বর সভা ডাকেন সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাস। ব্রিগেড ভরে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, এখনো অটুট বামেদের জনপ্রিয়তা।
Be the first to comment