এক ঘরে পড়ে রয়েছে স্বামীর রক্তাক্ত দেহ। আর পাশের ঘরের বিছানায় স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ। অথচ স্ত্রীর পাশেই ঘুমে অচেতন তাঁদেরই দুই সন্তান। রবিবার ভোরে দেহ উদ্ধারের শুরু থেকেই ঘটনাটি ধন্দে ফেলেছিল পুলিশকে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে শেষে দুজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। শিলিগুড়ির আপার বাগডোগরার ঘটনা। জানা গেছে, নিহত ব্যবসায়ীর নাম অজয় কুশওয়াহা ও তাঁর স্ত্রীর নাম মীনা। এলাকায় ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা ছিল অজয় বাবুর। ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ক্যাটারিং কর্মীর বক্তব্য, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁদের সঙ্গে শেষবার কথা হয় অজয় বাবুর সঙ্গে।
এরপরে রাত প্রায় ৩টে নাগাদ ক্যাটারিং সামগ্রী বাড়িতে রাখতে গেলে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। আর অজয় বাবুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে । পাশের ঘরে গিয়েও মীনাদেবীরও মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। অথচ মায়ের পাশেই ঘুমিয়ে ছিল তাঁদের দুই সন্তান। মা-বাবা খুন হয়ে গেল অথচ সন্তানরা কেউই টের পেল না, এটাই সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তোলে পুলিশকে। তদন্তের স্বার্থে আনা হয় স্নিফারডগ। প্রাথমিক তদন্ত শেষে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Be the first to comment