আর মাত্র তিনদিনের অপেক্ষা। জোড়া মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে ভারত সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ। একদিকে, শতাব্দীর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। অন্যদিকে, মঙ্গলের কাছে আসা। দুইয়ের মেলবন্ধন আগামী সাতাশে জুলাই, বৃহস্পতিবার।
১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। সঙ্গে মঙ্গলের প্রতিযোগ অবস্থান। দুই মহাজাগতিক ঘটনার বিরল মেলবন্ধনে রাতের আকাশে ঢাকা পড়বে চাঁদ। উজ্জ্বল হবে লালগ্রহ। সাক্ষী থাকবে এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইউরোপ। অপেক্ষা এখন সাতাশে জুলাইয়ের। কী ঘটবে রাতের আকাশে? উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হবে সর্বাধিক। একই সরলরেখায় অবস্থান করবে সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ। পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে গ্রহণ হবে চাঁদের। একই সময়ে মঙ্গলের সঙ্গে দূরত্ব কমবে পৃথিবীর। গাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশে ঔজ্জ্বল্য বাড়বে মঙ্গলের, আকারে বড় দেখাবে তাকে।
খালি চোখেই এই ঘটনার সাক্ষী হতে পারবেন কলকাতার মানুষ। এমপি বিড়লা প্ল্যানেটরিয়ামের ডিরেক্টর, দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানিয়েছেন, ‘চন্দ্রগ্রহণ দেখতে কোনও ফিল্টার লাগে না। বাইনোকুলার হলে আরও স্পষ্ট দেখা যায়। চাঁদের গহ্বরগুলি আরও স্পষ্ট দেখা যাবে। মানুষের উপর এর কোনও ভালো বা খারাপ প্রভাব নেই। ১০০ বছরে এটাই দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ সর্বাধিক ১ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট দীর্ঘ হতে পারে। এটা চলবে ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত। ২৭ জুলাই আংশিক চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে — পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ১টায়, চলবে রাত ২টো ৪৩ মিনিট পর্যন্ত — গ্রহণ পুরোপুরি শেষ হবে ২৮ জুলাই ভোর ৩টে ৪৯ মিনিটে।
একই সময়ে দূরত্ব কমবে পৃথিবী-মঙ্গলেরও। গড়ে ২৬ মাস অন্তর পৃথিবীর কাছে আসে মঙ্গল ৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে প্রতিযোগ ৷ প্রতিযোগের সময় মঙ্গল সূর্যের কাছাকাছি থাকলে তাকে বলে সুবর্ণ প্রতিযোগ ৷ এবারের ঘটনাকেও সুবর্ণ প্রতিযোগ বলছেন বিজ্ঞানীরা ৷
২০০০ সালের ১৬ জুলাই ১ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ধরে চলেছিল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। ২০১১-এর ১৫ জুন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব ছিল এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট। ২৭ জুলাইয়ের পর ২০১৯ ফের হবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
Be the first to comment