অভিনব পদ্ধতিতে গাঁজা পাচার করতে গিয়েও ব্যর্থ হল পাচারকারীরা। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ উদ্ধার করল গাঁজা। কুরিয়র কম্পানির ম্যানেজার সহ গ্রেপ্তার করা হল তিন জনকে৷ আগামীকাল তাদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে৷
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী এয়ার লিঙ্ক এয়ারওয়েজ ক্যুরিয়র সার্ভিস অফিসে হানা দিয়ে পুলিশ জানতে পারে বিস্তারিত তথ্য ছাড়াই চারটি পার্সেল গুয়াহাটি থেকে এসেছে। সেগুলি একটি অটোতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিহারের উদ্দেশে। এরপরেই হানা দিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যাদের মধ্যে একজন ওই কুরিয়র কম্পানির ম্যানেজার। ধৃতের নাম সন্দীপ জৈন।
ধৃতরা হল গৌতম গুপ্তা, মহম্মদ ফিরোজ ও সন্দীপ জৈন। গৌতম গুপ্তা বিহারের বাসিন্দা। গুয়াহাটি থেকে ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা শিলিগুড়ি নিয়ে আসছিল সে। মহম্মদ ফিরোজ NJP থানা এলাকার বাসিন্দা। শিলিগুড়ি থেকে বিহারে গাঁজা পাচারের ক্ষেত্রে ফিরোজের অটো ব্যবহার করা হচ্ছিল। শুধু অটো ব্যবহারই নয়, গাঁজা পাচারচক্রের সঙ্গেও সে জড়িত বলে খবর। এছাড়া, ওই কুরিয়র কম্পানির ম্যানেজার সন্দীপ জৈনও এই ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট সূত্রে খবর, প্রায় ১০৪ কেজি মণিপুরী গাঁজা বিশেষভাবে টিনের বাক্সে ভরে পাচার করা হচ্ছিল। যার আনুমানিক বাজারদর প্রায় ১০ লাখ টাকারও বেশি। যদিও গাঁজাকে বৈদ্যুতিক পণ্য হিসেবে দেখানো হয়েছিল। এছাড়াও টিনের বাক্স ভেদ করে যাতে গাঁজার গন্ধ না বেড়িয়ে আসে সেজন্য বিশেষ সতর্কতাও অবলম্বন করা হয়েছিল।
এবিষয়ে ডিটেকটিভ ডিপার্টপমেন্টের DCP নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “সূত্রের খবর মোতাবেক তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি অটো। উদ্ধার হয়েছে ১০৪ কেজি গাঁজা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই গাঁজা বিহারে পাচার করা হচ্ছিল। তবে, সঠিক কোন ঠিকানায় পাচার করা হচ্ছিল তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশকিছু তথ্য মিলবে বলে আশা করছি।”
Be the first to comment